অ্যালনউইক গার্ডেন, ছবি - সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস
বাগান মানেই তো এক শান্তির স্থান। ক্লান্তি মুছে, নিশ্চিন্তে সবুজের মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ। ঘাসের ওপর ঘোরার আনন্দ। কিন্তু এমনও এক বাগান আছে যেখানে শান্তিতে ঘোরার কোনও উপায় নেই। বরং পদে পদে বিপদ ছড়িয়ে আছে।
একটু ভুল বা অসতর্কতা অজ্ঞান করে দিতে পারে যে কাউকে। কিন্তু সে বাগানে ঘোরার ইচ্ছা সাধারণ বাগানে ঘোরার ইচ্ছার চেয়েও বেশি। বরং এই বিপদই এখন এই বাগানের ইউএসপি। দূর দূর থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই বিষাক্ত বাগান ঘুরে দেখতে।
ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যান্ডের অ্যালনউইক শহরের এই বাগান তৈরি হয়েছিল ১৭৫০ সালে। কিন্তু সে সময় তা ছিল আর পাঁচটা বাগানের মতই একটি বাগান। পরে সময়ের সঙ্গে বাগানটি নষ্ট হয়ে যায়।
ফের সেই বাগানকে সাজিয়ে তোলা শুরু হয় একবিংশ শতাব্দীতে। ২০০১ সালের পর থেকে এই বাগান নবরূপ পেতে থাকে। আর তখনই এই বাগানে বিরল সব বিষাক্ত গাছ লাগানো শুরু হয়।
ক্রমে বাগানটাই অন্য বাগানের চেয়ে আলাদা হয়ে ওঠে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত ও মাদক জাতীয় গাছের ভিড়ে। আবার এটাই এই বাগানকে আলাদা পরিচিতি দেয়। যার টানে মানুষ এখানে ছুটে আসেন।
বাগানে কিন্তু কোনও গাছের ধারেকাছে যাওয়া মানা। পর্যটকরা এমনটা যাতে না করেন সেজন্য কড়া নজরদারি থাকে। এমন কিছু গাছ রয়েছে যার কাছে গেলে তার গন্ধ পাওয়া যায়। যা নাকে গেলে জ্ঞান হারাতে পারেন মানুষ।
আবার হেমলকের মত বিষের গাছও এখানে ছড়িয়ে আছে। আবার গবেষণার প্রয়োজনেই এখানে সযত্নে রক্ষিত হয় গাঁজা গাছ, আফিম গাছ।
সব মিলিয়ে এই বাগান যেমন ভয়ংকর, তেমনই সেই ভয়ংকরকে সামনে থেকে দেখতে পর্যটকের ভিড় জমে এই অ্যালনউইক গার্ডেনে।