World

কারও মাথার টাক নিয়ে কোনও বাঁকা কথা নয়, বললে হতে পারে সাজাও

টাক নিয়ে হাসিঠাট্টা বা কটূক্তি, কোনওটাই চলবে না। এটা কিন্তু একটি মামলার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট করল আদালত। যা নিয়ে রীতিমত আলোচনা শুরু হয়েছে।

Published by
News Desk

তিনি পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। এক ব্যক্তির অধীনে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু তাঁর ওপর চরম বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি মালিক তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন।

বরখাস্ত করার সময় প্রবল রেগে তাঁর টাক মাথা ও মোটা দেহ নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। চাকরি যায় ওই ব্যক্তির। তবে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ ছিল তাঁর টাক নিয়ে তাঁকে কুমন্তব্য করেছেন তাঁর মালিক।

টনি ফিন নামে ওই ইলেক্ট্রিশিয়ানের বক্তব্য শোনার পর বিষয়টিকে একেবারেই হাল্কাভাবে নেননি বিচারকেরা। ৩ বিচারকের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেন মাথার টাক একটি সহজাতভাবে সম্পর্কিত বিষয়। এটা নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য কখনওই মেনে নেওয়া যায়না।

এই ধরনের শব্দ কারও সম্বন্ধে বলা হয়রানির মধ্যেও পড়ে বলে জানান বিচারকেরা। এও জানানো হয় যে মাথায় টাক পড়া পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। মহিলাদের মধ্যে তুলনায় কম। এটা নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য কাউকে করা যেতেই পারেনা।

টাক শব্দটাই অত্যন্ত কড়া কটূক্তি বলে জানান বিচারকেরা। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের আদালতের এই রায় গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছে। যদিও টনি ফিনের মালিক জ্যামি কিং ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর টাক নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তা বিচারকদের কাছে স্পষ্ট নয়।

অপমান করতেই যে এই আপত্তিকর শব্দের ব্যবহার তিনি করেছিলেন তেমন কোনও প্রমাণ তাঁদের হাতে নেই। তবে ফিনের চাকরি এভাবে কেড়ে নেওয়া অনুচিত বলে জানিয়ে তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts