চিনের কুইং সাম্রাজ্যের সময়কার ফুলদানি, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
১৯৮০ সালের কথা। তখন এক ব্রিটিশ সার্জন ওই ফুলদানিটি পছন্দ হওয়ায় কয়েক শো পাউন্ডে সেটি ঘরে নিয়ে আসেন। ফুলদানিটি দেখতে সুন্দর। নীল রঙের পোর্সেলিনের ফুলদানিটির ওপর সোনালি ও রূপালি রংয়ের কাজ।
পুরোটায় সারস আর বাদুড়ের ছবি করা রয়েছে। ফুলদানিটি মামুলি আর পাঁচটা ফুলদানি মনে করে রাখা ছিল রান্নাঘরে। হালে এর মূল্য জানতে পারা যায়।
এটির বয়স ২৫০ বছর। চিনের কুইয়ানলং সম্রাটের জন্য বানানো হয়েছিল। এর রং পাকা ও সুন্দর করতে গরম করে রং করার বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল।
কুইয়ানলং সাম্রাজ্যের এই ফুলদানিটির ঐতিহাসিক মূল্য ও এর বিরল বৈশিষ্ট্যের কথা মাথায় রেখে এটি যখন নিলামে তোলা হয় তখন এর দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলে।
ফুলদানিটি নিলামে যখন তোলা হয় তখন তার বেস প্রাইস ছিল ১ লক্ষ ৫০ হাজার পাউন্ড। যা চড়তে চড়তে গিয়ে ঠেকে ১৪ লক্ষ ৪৯ হাজার পাউন্ডে। সেই দামে বিক্রি হয় ফুলদানিটি। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম দাঁড়ায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার আশপাশে।
প্রথমে মামুলি ভেবে কিনে আনা দ্রব্যের মূল্য পরে জানতে পেরে তা নিলামে তোলা এবং তা বিপুল অঙ্কে বিক্রি হওয়া নতুন নয়। এর আগেও এমনটা ঘটেছে। গত বছরও এমনভাবে হাজার তিনেক টাকায় কেনা একটি চাইনিজ বোল বিক্রি হয় বিপুল অঙ্কে।