Health

বিজ্ঞানের ম্যাজিক, হাত বাড়ালেই মিলবে পছন্দের নাক কান

নাক বা কান এবার হাতের নাগালেই পাওয়া যাবে। তারজন্য আর হতাশায় ভুগতে হবে না। এও বোধহয় এক বড় প্রাপ্তি।

Published by
News Desk

জন্ম থেকেই নাকটা প্রায় নেই বললেই চলে। অথবা কানটা কেমন যেন! কিন্তু জন্মগত এসব নাক, কান তো আর ঠিক করে নেওয়া যায়না। আবার অনেকের জন্ম থেকে নাক বা কান স্বাভাবিক হলেও অসুখ তা অনেকটাই বদলে দিয়েছে। এঁরা সকলেই মানসিক অবসাদের শিকার হন তাঁদের অঙ্গত্রুটির কারণে। কিন্তু সেই অবসাদের দিন এবার বোধহয় ফুরোল।

বিজ্ঞান অনেক সময়েই অসাধ্য সাধন করে। তারই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন গবেষকরা। এই গবেষণার ফলে নাক, কান তৈরি করা যাবে বিশেষ পদ্ধতিতে।

যাঁরা নাক, কান নিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি কিংবা ক্যান্সারে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাঁদের মুখে ক্ষতের চিহ্ন প্রকট হয়ে উঠেছে তাঁরা চাইলে নাক কিংবা কান প্রতিস্থাপন করাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ ক্ষতমুক্ত হবে।

গবেষণাটি চালিয়েছেন ওয়েলসের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ব্রিটেনে হওয়া এই গবেষণা ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমের।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অক্ষত নতুন নাক কিংবা নতুন অক্ষত কান সম্পর্কিত গবেষণার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে শীঘ্রই। প্লাস্টিক সার্জারির গবেষক এল হুইটেকারের দাবি নতুন নাক কিংবা কান বসাতে হলে অস্ত্রোপচার করা যাবে স্বল্প সময়েই। এজন্যে খরচও পড়বে কম।

তবে এখনই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে না। গবেষকরা জানিয়েছেন, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২ বছর থেকে ৫ বছরের মধ্যে এ সম্পর্কিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। যে প্রযুক্তিতে গবেষণা সাফল্য লাভের পথে তাও গোটা দুনিয়ায় নজির সৃষ্টি করতে চলেছে বলে গবেষকদের দাবি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এব্যাপারে খবরাখবর প্রকাশের পরে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। বিশেষত যাঁদের প্রয়োজন নতুন নাক কিংবা কান। এর ফলে সেই মানুষগুলি বেঁচে থাকার জন্যে জোরাল আত্মবিশ্বাসও ফিরে পাবেন।

বর্তমানে জোরকদমে চলছে গবেষণার কাজ। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করাই নন, উপকৃত হবে শিশুরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk