মেঘের পিছনে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ঘুরে এল রঙিন পুতুল, আকাশ থেকে কোথায় নামল সেটাই রহস্য
তাকে ফিরে পেতে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন সকলে। যে সে পুতুল নয়। একাই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ঘুরে আসা পুতুল। সে কোথায় নেমে এসেছে তার খোঁজে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাইছে স্কুল।
স্কুল থেকেই পাড়ি দিয়েছিল সে। পৃথিবীর মাটি থেকে অনেক অনেক উপরে চলে গিয়েছিল নির্ভয়ে। স্কুলের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা মিলে তাকে সাজিয়ে গুজিয়ে পাঠিয়েছিল মাটি থেকে আকাশে। আকাশে মানে মেঘেরও পিছনে। যেখানে রয়েছে বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
ওয়েদার বেলুন বা আবহাওয়া বেলুনের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় ব্র্যাডফিল্ড বেয়ারকে। সেই টেডি বেয়ার বেলুনের সঙ্গেই ক্রমে মাটি ছেড়ে উঠে যেতে থাকে আকাশে। বেলুনের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি ক্যামেরা। যা সর্বক্ষণের লাইভ ছবি পাঠাতে থাকে।
ফলে টেডি কতদূর গেল, কোন উচ্চতায় পৌঁছল, সেখান থেকে পৃথিবীকে কেমন লাগছে, তার হাল কেমন, সবই দেখতে পাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের লিমিংটনের ওয়ালাম্পটন স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষকরা।
এটি ছিল একটি পরীক্ষামূলক কাজ। যেখানে টেডির উপরে যেতে থাকার সময় তার অবস্থা ও পরিবর্তন, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পৌঁছনোর পর তার অবস্থা, সব দেখে পরীক্ষা করতে চাইছিল ছাত্রছাত্রীরা।
যেহেতু সবই দেখা যাচ্ছিল ক্যামেরা মারফত, তাই মেঘ পার করে আরও উঁচুতে পৌঁছে যাওয়ার পর সেখানে যে ঝঞ্ঝার মধ্যে টেডিকে পড়তে হয় সেটাও নজরে আসে সকলের।
মাটি থেকে টেডি যখন ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে তখন বেলুনের সঙ্গে তার সুতো ছিন্ন হয়। ফলে টেডিটি ফের পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে থাকে। সেটি পৃথিবীর মাটিতে নেমেও আসে।
কিন্তু সেটি কোথায় এসে পড়েছে তার খোঁজ নেই কারও কাছে। স্কুলের তরফে সকলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যিনিই এই টেডিটির খোঁজ পাবেন তিনি যেন তখনই স্কুলকে তা জানান। টেডি ইংল্যান্ডের ঠিক কোন জায়গায় এসে পড়ে থাকতে পারে তার একটা আন্দাজ অবশ্য বিশেষজ্ঞেরা দিয়েছেন। সেই জায়গার আশপাশে জোর তল্লাশি চলছে ওই আকাশ ফেরত টেডির হদিশ পাওয়ার জন্য।













