কয়েক কোটি টাকা দিয়ে নিজের বাড়ি বানিয়েও থাকতে না পারা যে কতটা কষ্টের সেটা যার সাথে হয় সেই বোঝে। নিজেদের প্রাসাদোপম বাড়িটি এখন বস্তুত তাঁদের কাছে বোঝায় পরিণত হয়েছে। না পারছেন থাকতে আর না পারছেন বিক্রি করতে। কিন্তু কি এমন ঘটল যে সেখানে থাকতে পারছেন না এক দম্পতি।

ঘটনাটি ব্রিটেনের ওয়েলসের। ১৯৭১ সালে চার্লস এবং প্যাট্রিসিয়া লেস্টার নামে ব্রিটেনের এক ফ্যাশন ডিজাইনার দম্পতি ১০ কোটি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওয়েলসে ওই প্রাসাদটি কেনেন।

অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত বাড়িটি একবার দেখেই তাঁদের পছন্দ হয়ে যায়। প্রায় সাথে সাথেই তাঁরা সেটি কেনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বিপদ বাড়ল বাড়িটিতে থাকতে এসে।

ওই প্রাসাদটিতে ২০টি কামরা রয়েছে। ওয়েলসের দক্ষিণ অ্যাবারগাভেনিতে অবস্থিত বাড়িটি মনমাউথশায়ার এবং ব্রেকন এই ২টি খালের একেবারে সামনে অবস্থিত। জায়গা এবং বাড়ির গঠন মিলিয়ে বর্তমানে ওই প্রাসাদের দাম হয়েছে ১২ লক্ষ পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৪ কোটি টাকারও বেশি।

এমন মূল্যবান সম্পদের মালিক হয়েও এই মুহুর্তে ওই দম্পতি আদপেই বিব্রত। কারণ তাঁদের বাড়ির নিচ দিয়ে যে খাল বয়ে যাচ্ছে তার কারণে মাঝে মাঝেই সেখানে ভূমিধ্বস নামে। বাড়ি লাগোয়া জমিটি একাধিকবার ধসের কবলে পড়েছে। ওই এলাকায় বছরের পর বছর ধরে বন্যা ও ধসের কারণে জমি আলগা হয়ে গেছে।

বাড়িটি কেনার সময় দম্পতি এতকিছু খবর নেননি। কিন্তু কেনার পর সবকিছু জানতে পেরে বিগত প্রায় ১ দশক ধরে তাঁরা বাড়িটি বিক্রির আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু কেউই ওই বাড়ি কিনতে চাইছেন না।

এমনকি বাজারের থেকে অনেক কম দামে বিক্রি করতে চাইলেও কেউ কিনছেন না বাড়িটি। ফলে একসময় কেনা শখের প্রাসাদই এখন ওই বৃদ্ধ দম্পতির গলগণ্ড হয়ে উঠেছে। সবসময় ভয় নিয়ে থাকতে থাকতে তাঁরা প্রবল মানসিক চাপের শিকারও হয়ে পড়েছেন।