কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে ডাইনোসর, প্রতীকী ছবি
১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগের কথা। সে সময় ডাইনোসররা পৃথিবীতে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তারা কোথায় কোথায় ঘুরত? কোথায় ছিল তাদের আস্তানা? বিশ্বজুড়েই কি তাদের দেখা পাওয়া যেত?
একসময় আমেরিকা থেকে জাপান, এমনকি ভারতেও ডাইনোসরের উপস্থিতির চিহ্ন মিলেছে। এবার ডাইনোসরদের রাজপথের খোঁজ মিলল ইংল্যান্ডে। কেন রাজপথ বলা হচ্ছে?
দেখা গেছে পা ফেলে ফেলে যাওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট। বিশাল সেসব পায়ের ছাপ। যা আবার বিভিন্ন ধরনের পায়ের ছাপে ভরা। যার মধ্যে যেমন মাংসাশী ডাইনোসর রয়েছে, তেমনই তৃণভোজী ডাইনোসরও রয়েছে।
এটা প্রমাণ করে এখানে একই সঙ্গে নানা প্রজাতির ডাইনোসর একসঙ্গে বসবাস করত। তাদের মধ্যে তেমন কোনও ঝগড়া ছিলনা। লন্ডন শহরের কাছে অক্সফোর্ডশায়ারের একটি অসমতল প্রান্তরে ৫০০ ফুট জুড়ে এই ডাইনোসরের পায়ের টানা ছাপ পাওয়া গিয়েছে।
যে ছাপ পরীক্ষা করলে সে সময়ের ডাইনোসরদের সম্বন্ধে নানা তথ্য, যেমন তাদের প্রজাতির মধ্যে সম্পর্ক, তাদের যাতায়াত জানতে পারা যাবে। জুরাসিক যুগের মধ্যভাগে এই ডাইনোসররা ইংল্যান্ডে ঘোরাফেরা করত।
এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডে যে ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে এটি তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বলে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে এই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
প্রতিটি পায়ের ছাপ অত্যন্ত যত্ন করে রাখা হচ্ছে। মেগালোসরাস নামে ডাইনোসরকে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় মাংসাশী ডাইনোসর বলা হয়। তাদের উচ্চতা ৯ মিটার হত।
সেই মেগালোসরাস ও তাদের দ্বিগুণ চেহারার তৃণভোজী ডাইনোসরদের ঘোরাফেরা যে এখানে ছিল তা পরিস্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর প্রকাশ করেছে।