হাতঘড়ি, প্রতীকী ছবি
তাঁর যখন ২১ বছরের জন্মদিন হয় তখন তিনি একটি বহুমূল্য রোলেক্স হাতঘড়ি পেয়েছিলেন। যা তিনি ২০ বছর ব্যবহারও করেন। সে সময় তিনি একটি খামারে কাজ করছিলেন। একদিন আচমকা তিনি দেখেন তাঁর হাতঘড়িটি উধাও। কেউ আসেনি যে তা চুরি যাওয়ার ভয় আছে। তাহলে কোথায় গেল?
গোটা খামার চত্বর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ঘড়ি না পেয়ে তিনি ভেবে দেখেন ঘড়িটির শেষ অবস্থান। তাঁর মনে পড়ে ঘড়িটি তিনি শেষবার একটি গরুর কাছেই দেখেছিলেন। তিনি বুঝতে পারেন কচি কচি ঘাসের সঙ্গে দিব্যি তাঁর ঘড়িটিও গরুটি পেটে পুড়ে ফেলেছে।
তারপর থেকে ৫০ বছর কেটে গেলেও সে ঘড়ির দেখা তিনি পাননি। গরুর পেটেই সে ঘড়ি বিলীন হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত ছিলেন ইংল্যান্ডের ওসওয়েস্ট্রির কাছে একটি গ্রাম মোরদার কৃষক জেমস স্টিলি। তিনি পুরো ঘটনা সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে জানিয়েছেন।
জেমসের এখন ৯৫ বছর বয়স। তিনি আর খামারে কাজ করতে পারেননা। এখন সব দেখভাল তাঁর ছেলের হাতে। তাঁর ছেলেই হালে এক মেটাল ডিটেক্টরিস্টকে তাঁর খামারে পুরনো কয়েন খোঁজার অনুমতি দেন।
সেই ব্যক্তিই কয়েন খুঁজতে গিয়ে খামারের একটি জায়গায় মাটিতে মাখা অবস্থায় একটি ঘড়ি পান। ঘড়িটি বন্ধ ছিল। তার জেল্লাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সেই রোলেক্স ঘড়িটি ৯৫ বছরের জেমস একবার দেখেই চিনতে পারেন। তিনি বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে মিরাকল হয়ে গেছে। ৫০ বছর পর তাঁর সেই হারানো রোলেক্স তাঁর হাতে ফেরত এসেছে। যদিও তা নষ্ট হয়েছে তবে তা স্মৃতি হিসাবে নিজের কাছে যত্নে রাখতে চান ওই কৃষক।