
মোলার ম্যাডসেনের ডুবোজাহাজ ইউসি৩ নটিলাস। এই ডুবোজাহাজটি নিয়ে স্টোরি করতেই ডুবোজাহাজে চড়ে জলে ডুব দিয়েছিলেন বছর ৩০-এর তরুণী সুইডিশ সাংবাদিক কিম ওয়াল। সে ২ মাস আগের কথা। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ ছিল না। ডুবোজাহাজটির মালিক মোলার ম্যাডসেনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি প্রথমে জানিয়েছিলেন পরদিনই কোপেনহেগেনে কিমকে নামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে জেরার মুখে বয়ান বদলে বলেন, কিমের ডুবোজাহাজের মধ্যেই বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর মাথা থেঁতলে যায় ভারি একটি হ্যাচের নিচে। মৃত্যু হয়। তারপর কিমের দেহ জলেই সমাধিস্থ করেন তিনি। ঠিক করেছিলেন ওই ঘটনার পর ডুবোজাহাজ নিয়ে জলের তলায় তিনিও ডুব দেবেন। আর ফিরবেন না। যদিও শেষ পর্যন্ত তা করে উঠতে পারেননি। তবে মোলারের কোনও বয়ানই ধ্রুবসত্য হিসাবে মানতে নারাজ পুলিশ।
যেটা পুলিশকে আরও চিন্তায় ফেলল তা হল কিমের নিখোঁজ হওয়ার ২ মাস পর এদিন ডেনমার্কের ডুবোজাহাজের কর্মীরা কোজে বে-র কাছে কয়েকটি ব্যাগ উদ্ধার করেছেন। যার একটিতে মিলেছে কিমের কাটা মুণ্ড। অন্য একটি ব্যাগে মিলেছে তাঁর দেহাংশ। আর একটি ব্যাগে মিলেছে কিমের অন্তর্বাস ও তাঁর ব্যবহার করা কিছু জিনিস। এই ব্যাগই আপাতত রহস্যে অন্য মোড় এনেছে। কিমের যে কাটা মুণ্ড উদ্ধার হয়েছে তাতে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখার চেষ্টা চালাচ্ছে।