বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক লতানে গাছের দেখা মিলল, বয়স শুনলে বিশ্বাস হবেনা
এই লতাগাছই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক লতানে গাছ। যা আজও বহাল তবিয়তে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যার বয়স শুনলে অনেকের বিশ্বাস হবেনা।
একটি গ্রাম। চারধারে জঙ্গলঘেরা। প্রচুর গাছ। এখানেই রয়েছে একটি আঙুর গাছ। লতানে এই আঙুর গাছটির উপরের দিকে উঠে যাওয়া দেখলে বোঝা যায় সেটি লতানে গাছ। আবার তাকে দেখলে বৃক্ষ বলেও মনে হবে। কারণ গাছটি ২৬ ফুট লম্বা।
প্রায় ২ ফুট ব্যাসের এই গাছ কিন্তু মোটেও সমতলে নেই। রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ৯০০ ফুট উপরে। পাহাড়ের ওপর তার অবস্থান। আশপাশে তার গাছের অভাব নেই। তারমধ্যেই বছরের পর বছর ধরে সে বেঁচে আছে নিজের মত করে। বলা ভাল শতকের পর শতক ধরে।
এই আঙুর গাছটির জন্ম যখন হয় তখন দিল্লির মসনদে চলছে জাহাঙ্গীরের শাসন। আকবরের পর জাহাঙ্গীর তখন সবে দিল্লির শাসনভার সামলাচ্ছেন। সেই সময় দিল্লি থেকে অনেকটা দূরে তিব্বতের জোগাং-এর জোউবা গ্রামে জন্মেছিল এই গাছ।
তারপর শতকের পর শতক কেটেছে। কিন্তু তিব্বতের ঠান্ডার মধ্যেও এই গাছ তার মত করে বেঁচে থেকেছে। বেড়ে উঠেছে। এখন তার বয়স ৪১৬ বছর। বিভিন্ন পরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন এই গাছের বয়স নিয়ে।
৪১৬ বছর ধরে কোনও লতানে গাছের বেঁচে থাকা এই প্রথম দেখতে পাওয়া গেল। ফলে এখন এই আঙুরলতাই বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো লতানে গাছ। তার যোগ্য স্বীকৃতিও গাছটি পেয়েছে। এই গাছটিকে গিনেস বুকের তরফে যখন শংসাপত্র প্রদান করা হয়, তখন স্থানীয় মানুষ আনন্দে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন।





