World

এক অতিকায় সাপ নাকি একটি আশ্চর্য গুহা, পর্যটকদের প্রতিদিন অবাক করে এই জায়গা

প্রকৃতির সৃষ্টির বিষয়ে মানুষ সবসময়েই হতবাক। কখনও তা সৌন্দর্যের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানে। আবার কখনও রহস্যময় পরিবেশ তৈরি করে অস্বাভাবিক অবস্থার জন্ম দেয়।

এক গভীর জঙ্গলে রহস্যময় এই স্থান রয়েছে। স্থানটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হবে সেখানে মাটির নিচে এক বিশাল সাপ লুকিয়ে রয়েছে। আর তার মাথাটি রয়েছে উপরে। সবচেয়ে বড় কথা, সাপটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত প্রতিটা অংশই নিখুঁতভাবে বোঝা যায়। এমনকি গায়ে আঁশের মত গঠনও দৃশ্যমান।

এর নাম নাকা কেভ। থাই ভাষায় যার অর্থ সাপ পাথর। থাইল্যান্ডের ফু লাংকা ন্যাশনাল পার্কের ভেতর এ‌ই গুহার দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন রাতে সেখানে গেলে এক অদ্ভুত শক্তির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।

সঙ্গে শোনা যায় সাপের ফোঁস ফোঁস আওয়াজ। তাই অনেকেই এখানে ধূপ জ্বালিয়ে পুজো দেন। কয়েকজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীও নিয়মিত এই পাথরের নিচে ধ্যান করতে আসেন।

কথিত আছে অনেক বছর আগে এ অঞ্চলে দৈত্যাকৃতি এক সাপ ছিল। সে ছিল অমর এবং অলৌকিক। কোনও এক কারণে মানুষের উপর বিরক্ত হয়ে সেই নাগরাজ তাদের অভিশাপ দিতে যায়। কিন্তু উল্টে নাগরাজ নিজেই এক সাধুর কোপে পড়ে। ফলে সাধুর অভিশাপে সে পাথরে পরিণত হয়।

বিজ্ঞানীদের মতে এটি প্রাকৃতিক ক্ষয়ের একটি আশ্চর্য নিদর্শন। বহু বছর ধরে তাপ, চাপ, বায়ু এবং বৃষ্টির দ্বারা বেলেপাথর ক্ষয়ে গিয়ে এরকম সাপের আকৃতি পেয়েছে।

পর্যটকদের কাছে এটি দারুণ এক আকর্ষণীয় স্থান। জঙ্গলের নিরিবিলি পরিবেশ জায়গাটিকে আরও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানে থাইল্যান্ড সরকার এই অঞ্চলটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখানে পৌঁছনোর জন্য নির্দিষ্ট পথ এবং গাইডের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *