যেন খুদে ড্রাগন, গুহার মধ্যে নতুন প্রাণির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা, নামে রাজকুমারী
একদম যেন খুদে একটা ড্রাগন। একটি গুহার মধ্যে আবিষ্কার হল এক নতুন প্রাণির। নতুন প্রাণিটির নামকরণও হল। নামে যুক্ত হল রাজকুমারী।

গুহাটা স্যাঁতস্যাঁতে। গুহার মধ্যে পাথুরে দেওয়ালের গায়ে অনেক ফাটল। অনেক খাঁজ। সেই পাথুরে দেওয়ালের ওপর কেন্নো জাতীয় প্রাণিদের মিলনাবস্থায় দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা ওই গুহায় প্রবেশ করেছিলেন সেখানকার প্রাণি জগতকে ভাল করে পরীক্ষা করার জন্য।
সেটা করতে গিয়ে এই মিলনরত যে কীটদের দেখতে পান বিজ্ঞানীরা তাদের দেখে তাঁদের চোখ আটকে যায়। নানাধরনের কেন্নো দেখেছেন তাঁরা। কিন্তু এমন কেন্নো জাতীয় প্রাণি তো আগে দেখেননি।
তাঁরা বুঝতে পারেন যে এ এক একেবারেই অচেনা কীট। যাদের দেখা এই প্রথম পাওয়া গেল এই গুহায়। মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া থাইল্যান্ডের ফা দেং গুহায় এই প্রাণির দেখা পাওয়ার পর তাদের ভাল করে পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেন এই প্রাণিগুলি ১ ইঞ্চির মত আকারের।
তাদের দেহাংশে এমন কিছু স্ফীত অংশ রয়েছে যা দেখে অনেকটা ডানার মত লাগে। যেমন ড্রাগনদের থাকে। সেটা দেখার পরই বিজ্ঞানীদের মনে হয় তাঁরা খুদে ড্রাগনের দেখা পেয়েছেন।
গাঢ় খয়েরি রংয়ের এই কীটগুলির গায়ের রং তাদের গুহার দেওয়ালের সঙ্গে মিশিয়ে রাখে। যাতে তাদের সহজে দেখা না যায়। বিজ্ঞানীরা এই প্রাণির যে পোশাকি নাম দিয়েছেন তা হল ‘ডেসমক্সিটেস চাওফা’। যার থাইল্যান্ডের ভাষায় মানে হল ‘প্রিন্সেস ড্রাগন’।
প্রসঙ্গত এটা থাইল্যান্ডের রাজকুমারীকে সম্মান জানিয়েই নামকরণ। এই নতুন কীট আবিষ্কারের বিষয়টি মায়ামি হেরাল্ড সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্ববাসী তাদের সম্বন্ধে জানতে পারেন।