রাজপথের পাতাল প্রবেশ, হাসপাতালের গা ঘেঁষে মাটির গভীরে চলে গেল রাস্তা
দ্বিধা হল ধরণী। একাধিক গাড়ি গিলে নিল অন্ধকার পাতাল। লাগোয়া হাসপাতাল কোনওক্রমে রক্ষা পেল। এই বিশাল রাস্তার এমন পাতাল প্রবেশে আতঙ্কের ছুটোছুটি।

তখন সকাল। রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল অন্যদিনের মতই। ব্যস্ততা বাড়ছিল। রাজধানী শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। হাসপাতাল, অফিস কি নেই! ঠিক তখনই এক ভয়ংকর ঘটনার সূত্রপাত।
যা প্রথমে দেখার পর তখনও আশপাশের মানুষ বুঝে উঠতে পারেননি ঠিক কি হতে চলেছে। এরপর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তাতে যে অভিজ্ঞতা হল মানুষের তা রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
বিশাল চত্বর জুড়ে পিচ ঢালা সাজানো রাস্তা ক্রমে ফেটে যেতে শুরু করল। তারপর ক্রমে তা নিচের দিকে নামতে লাগল। রাস্তার এই পাতাল প্রবেশে শুরু হয়ে গেল হুড়োহুড়ি। লাগোয়া হাসপাতাল প্রমাদ গুনল। কারণ অত দ্রুত সব রোগী, চিকিৎসক, অন্যান্য কর্মীদের বার করে আনা অসম্ভব।
রাস্তা তখন অন্ধকার কূপে প্রবেশের গতি বাড়িয়েছে। রাস্তার একটা একটা অংশ ভেঙে হুড়মুড় করে নেমে যাচ্ছে মাটির তলায়। ৬৫ ফুট গভীর পাতালে প্রবেশ করে রাস্তা, গাড়ি, ইলেকট্রিক পোল। যে গর্ত তৈরি হয় তা চওড়ায় ছিল ৯৮ ফুট।
ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের রাজধানী শহর ব্যাংকক-এ। ব্যাংককের স্যামসেন রোডে ঘটা এই ঘটনা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কোনওক্রমে রক্ষা পায় আশপাশের বাড়িগুলি। রক্ষা পায় হাসপাতাল। পাশের রাস্তা নেমে যাওয়ার পর যার মাটির তলায় পোঁতা থাকা ভিতের স্তম্ভগুলিও স্পষ্ট নজর কাড়ছিল।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখানে মাটির তলায় পাতাল রেলের কাজ চলছিল। সেখানেই সুড়ঙ্গ খননের সময় উপরের মাটি নিচে নেমে যায়। ঘটে এই ভয়ংকর ঘটনা।