World

নিজের হাতে বড় করা ১২৫টি কুমিরকে একদিনে শেষ করে দিলেন কৃষক

যন্ত্রণায় তাঁর হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। তবু তিনি মাত্র ১ দিনের মধ্যে তাঁর কাছে বড় হওয়া ১২৫টি কুমিরের প্রাণ কেড়ে নিলেন। কেন, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।

Published by
News Desk

প্রবল ঝড় বইছে চারধারে। তার সঙ্গে অতি প্রবল বৃষ্টি। সে বৃষ্টি থামার নাম নিচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ে প্রকৃতির এমন বিধ্বংসী রূপ দেখে তিনি ও তাঁর পরিবার ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এর আগেও অনেক বৃষ্টি জীবনে দেখেছেন।

তাঁর কুমিরের খামার। সেখানে বহু বছর ধরে তিনি কুমিরদের লালনপালন করে চলেছেন। যে অতিকায় পুকুরে তাঁর কুমিররা থাকে সেই পুকুরের চারধার উঁচু দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে সেই দেওয়াল প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় পৌঁছে যায়।

থাইল্যান্ডের ওই কৃষকের মতে, তিনি অনেক ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে তাঁর কুমির খামারকে রক্ষা করেছেন, কিন্তু ইয়াগির মত এমন ভয়ংকর তাণ্ডব আগে দেখেননি। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই তাই তিনি স্থির করেন মানুষকে বাঁচাতে গেলে তাঁর বড় প্রিয় কুমিরদের শেষ করে দিতে হবে।

কারণ একবার যদি ওই পাঁচিল ধসে যায় তাহলে সব কুমির বেরিয়ে পড়ে ছড়িয়ে যাবে আশপাশে। চারধারে জল জমে রয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে। তারা দ্রুত লোকালয়ে হানা দিতে পারে।

বহু মানুষের ক্ষতি হবে সেই কুমির হানায়। একবার সব কুমির বেরিয়ে পড়লে এই প্রবল দুর্যোগের মধ্যে তারা কোথায় কোথায় পৌঁছল তা বোঝাও অসম্ভব হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে হলে কুমিরদের শেষ করতেই হবে।

নাথাপাক খুমকাদ নামে ওই ব্যক্তি আর অপেক্ষা করেননি। ওই ঝড়জলের মধ্যেই তিনি ১২৫টি প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের জীবন কেড়ে নেন। তিনি জানিয়েছেন, এটাই ছিল তাঁর জীবনে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরদের শেষ করলেও শিশু কুমিরদের কোনও ক্ষতি তিনি করেননি। তাদেরই ফের বড় করে তুলবেন খুমকাদ।

Share
Published by
News Desk
Tags: Thailand

Recent Posts