World

রামায়ণ কোন দেশের জাতীয় গ্রন্থ, উত্তরটা কিন্তু ভারত নয়

রামায়ণ ভারতের ২টি মহাকাব্যের একটি। যা আজও ভারতীয়দের মুখে মুখে ঘোরে। তবু রামায়ণ কিন্তু ভারতের জাতীয় গ্রন্থ নয়। রামায়ণ অন্য এক দেশের জাতীয় গ্রন্থ।

Published by
News Desk

রামায়ণের কাহিনি শৈশব অবস্থা থেকেই ভারতীয় ছেলেমেয়েরা তাদের দাদু ঠাকুমার কাছে শুনে বড় হয়। কমবেশি রামায়ণের কাহিনি প্রায় সকলেরই জানা। ভারতে রামায়ণ চর্চা বহুকাল ধরেই চলে আসছে। রামায়ণ এখানে বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সিনেমা, সিরিয়াল, মঞ্চ সর্বত্র স্থান পেয়েছে।

তারপরেও কিন্তু রামায়ণ ভারতের জাতীয় গ্রন্থ নয়। কিন্তু এই রামায়ণকেই একটি দেশ তাদের জাতীয় গ্রন্থ করে রেখেছে। সেখানে রামের বীরত্বের গাথা অনেককে উদ্বুদ্ধ করে।

রামায়ণকে সে দেশে ডাকা হয় রামাকিয়েন নামে। রামায়ণকে থাইল্যান্ডের ভাষায় তর্জমা করার পর সেই গ্রন্থের নাম দেওয়া হয় রামাকিয়েন। যা থাইল্যান্ডে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে চর্চা হয়।

মনে করা হয় থাইল্যান্ড নামে ভূখণ্ডটিতে বহু প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় ব্যবসায়ীদের যাতায়াত ছিল। তাঁদের হাত ধরেই বাল্মীকি রামায়ণ থাই ভূখণ্ডে পৌঁছয়। তারপর তার চর্চা শুরু হয় এখানে।

এই রামায়ণ চর্চায় বৌদ্ধদের অবদানও ছিল অনেক। তারপর ক্রমে থাইল্যান্ডে রামায়ণ চর্চা চলতে থাকে। ক্রমে তা থাইল্যান্ডের সংস্কৃতির একটি অন্যতম অংশ হয়ে ওঠে।

থাই রামায়ণ রামাকিয়েন, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Jorge Láscar

থাই সাহিত্যচর্চায় রামাকিয়েনের স্থান একদম উপরে চলে আসে। এমনকি ক্রমে থাইল্যান্ডের স্কুলগুলিতেও রামাকিয়েন পড়ানো শুরু হয়। ফলে সেখানকার শিশুরাও রামায়ণের কাহিনি জানে।

থাইল্যান্ডে এই বই এখন জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে। ভারতে অনেকে মনে করেন রামায়ণ চর্চা ভারতেই সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু থাইল্যান্ডও খুব পিছিয়ে নেই।

Share
Published by
News Desk
Tags: Thailand

Recent Posts