World

১ বছরের মধ্যে ১১ জনকে বিয়ে করল সুন্দরী, কিন্তু তারপর?

প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব। তারপর একদিন দেখা হত দুজনের। সুন্দরী তরুণীর ডাকে সাড়া দিয়ে যাঁরা তার সঙ্গে দেখা করতেন, তাদের নিজের প্রেমের জালে অনায়াসে জড়িয়ে ফেলত সে। সম্পর্ক গাঢ় হলে দৈহিক সম্পর্কও তৈরি হত দুজনের মধ্যে। এরপর একদিন সে ওই ব্যক্তিকে জানাত সে সন্তানসম্ভবা। দ্রুত বিয়ে করতে হবে। ভালবেসে যে মেয়েটিকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন তাকে এই অবস্থায় ফেলে যাওয়ার কথা ভাবার প্রশ্ন উঠত না। বিয়েতে রাজি হয়ে যেতেন ওইসব তরুণরা।

থাইল্যান্ডে বিয়ের নিয়ম হল পাত্রপক্ষের তরফে মেয়েকে পণ দিতে হয়। সেই নিয়ম দেখিয়ে ৬ হাজার ডলার থেকে শুরু হত পণ নেওয়া। সব মিটে গেলে বিয়ের ৩-৪ দিন পরই নববধূ চোখে জল আনা এক করুণ কাহিনি তুলে ধরত স্বামীর সামনে। কখনও পারিবারকে তাদের বিয়েটা মেনে নেওয়ার জন্য বোঝাতে যাওয়া, কখনও পারিবারিক ফলের ব্যবসা না দেখলেই নয় বলে চম্পট দেওয়া তো কখনও রাশিফলে এখন বিয়েটা উচিত নয় বলে কিছুদিনের জন্য দূরে থাকার কথা বলে হাওয়া হয়ে যাওয়া। সদ্য বিয়ে করা স্বামীকে ফেলে সে চলে যেত সুদূরে। বলত কিছুদিনের মধ্যেই ফের তাদের দেখা হবে। কিন্তু সেই দেখা আর কোনও দিনই হতনা।

থাইল্যান্ডের মিডিয়ায় এখন এমনই এক ফাঁসুড়ে মেয়ের গল্প হটকেকের মত বিকচ্ছে। সে দেশের পুলিশ জানিয়েছে, শেষ এক বছরে এই এক ফর্মুলায় ১১ জন পুরুষকে ফাঁসিয়েছে ওই থাই তরুণী। নিজের সৌন্দর্যের জালে জড়িয়ে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ডলার থেকে ৩০ হাজার ডলার পণ নিয়ে করুণ কাহিনি শুনিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেছে। গত অগাস্টেই সে নাকি ৪ জনকে এমনভাবে বিয়ে করে ফাঁসিয়েছে। পুলিশ ওই তরুণীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ না করলেও তার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মেয়েকে এই পথে চালিত করায় বাবা-মায়ের হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *