World

কারও বাড়িতে চিঠি পৌঁছতে দিচ্ছেনা এক বাজপাখি

চিঠিপত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া ডাকবিভাগের কাজ। কিন্তু তা করতে দিচ্ছেনা একটি বাজপাখি। ফলে এলাকা জুড়ে চিঠি দেওয়াই বন্ধ করল ডাকবিভাগ।

চারদিকে যথেষ্ট সবুজ রয়েছে এখানে। দূরে দূরে বাড়ি। মনোরম পরিবেশ। বর্ধিষ্ণু এলাকা। কিন্তু এই এলাকার মানুষ এখন বাড়ি থেকে বার হতে গেলে ৪ বার ভাবছেন। কেউ দরজা খুলে ছুট্টে নিজের গাড়িতে চড়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার মাথায় কিছু পরে বার হচ্ছেন। কেউ বার হচ্ছেন ছাতা নিয়ে।

কিন্তু সাধারণভাবে মানুষ যেভাবে রাস্তায় বার হন সেভাবে বার হওয়ার উপায় নেই কারও। আরও বড় সমস্যা হয়েছে ডাকহরকরাদের। তাঁরা বাড়ি বাড়ি চিঠি পৌঁছে দিতে এলাকায় হাজির হচ্ছিলেন। কিন্তু ফিরতে পারছিলেননা এক বাজপাখির তাণ্ডবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বাজপাখিটি এই এলাকারই একটি উঁচু গাছে ঠায় বসে আছে। আর কেউ বাড়ি থেকে বার হলেই উড়ে এসে তাঁর মাথায় ঠোক্কর বসাচ্ছে। ডাকহরকরারা চিঠি নিয়ে হাজির হলেই তাঁদের দিকে আকাশপথে দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসছে সে। তারপর ঠোক্কর বসিয়ে দিচ্ছে মাথায় ঘাড়ে।

বাজপাখিটি এই গাছে একটি বাসা বেঁধেছে। সেখানে সে ডিমও পেড়েছে। সেই ডিম ফুটে ছানা বাজপাখিরা ওই বাসায় বড় হচ্ছে। প্রাণি বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই সময় বাজপাখিরা ভীষণ সতর্ক থাকে। দূরেও কাউকে দেখলেই সে তার সন্তানদের বিপদ বলে মনে করে তার দিকে ধেয়ে আসে।

এদিকে ডাকবিভাগের কর্মীরা বাজপাখির আক্রমণে একাধিকবার পড়ার পর টেক্সাসের মিলাম প্লেস এবং কেনউড অ্যাভিনিউ এলাকায় সাময়িকভাবে চিঠি পোঁছে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

স্থানীয়দের জানানো হয়েছে তাঁরা যেন এই সময় তাঁদের চিঠি পোস্টঅফিস থেকে সংগ্রহ করে নেন। পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। বাজপাখিটির ছানারা যতক্ষণ না বাসা থেকে বড় হয়ে উড়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই এলাকার মানুষকে এই ভোগান্তি সহ্য করতে হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *