পাহাড় জুড়ে বাঁ পায়ের ছাপ, রাতে আলো জ্বলে, বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় পর্বত এটি
একটি পর্বত রয়েছে যেখানে কেবল বাঁ পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। কম্পাস কাজ করেনা। রাতে আশ্চর্য আলো জ্বলে ওঠে।
শঙ্কুর মত আকৃতি বিশিষ্ট এক পর্বত। যার উচ্চতা মাত্র ৪০০ মিটার। আগ্নেয়শিলা এবং মরুভূমি দ্বারা বেষ্টিত পর্বতটির আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে পর্বতের ভিতরে এবং উপরে। পাথরে খোদাই করা রয়েছে ৩৭৯টি পায়ের ছাপ।
পর্বতটির নাম টিন্ডায়া। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের ফুয়ের্তেভেন্তুরা দ্বীপে রয়েছে এই টিন্ডায়া পর্বত। স্পেনীয় ভাষায় টিন্ডায়া পর্বতের নাম ‘মন্টানা দে টিন্ডায়া’। এটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় পর্বত। যে পর্বতে আরোহণ করাও নিষিদ্ধ।
১৯৯০ সালে টিন্ডায়া পর্বতের চূড়ায় কিছু পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। আশ্চর্যের বিষয় প্রতিটিই ছিল বাঁ পায়ের ছাপ। সেগুলির প্রতিটিই ছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। সবকটি পায়ের ছাপের মুখই ছিল পর্বতের পশ্চিম দিকে। মনে করা হয় এই পায়ের অধিকারীদের একটি করেই পা ছিল।
এই পর্বতে আরোহণ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। স্থানীয়রাও এই পর্বতের ধারেকাছে যেতে ভয় পান। পর্বতটি সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভ্রমণপিপাসীই টিন্ডায়া পর্বতের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। যাঁদের মধ্যে একজন জোশুয়া ম্যাককার্টনি। পর্বতের গোপন রহস্য উন্মোচন করার জন্য যিনি স্থানীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন।
জোশুয়া জানান পর্বতে পাওয়া পায়ের ছাপগুলির কার্বন ডেটিং করে দেখা গেছে সেগুলি ২০০০ বছরের পুরনো। একই সঙ্গে এও আবিষ্কৃত হয় পর্বতটির চৌম্বকক্ষেত্র স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। এখানে কোনও কম্পাসই কাজ করেনা। যা পর্বতটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
স্থানীয়রা টিন্ডায়াকে একটি পবিত্র পর্বত হিসাবে শ্রদ্ধা করেন। স্থানীয়দের একাংশের দাবি রাতে এখানে অদ্ভুত আলো দেখা যায়। ফলে অনেকেরই অনুমান টিন্ডায়া পাহাড় ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি।
১৯৯৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায় জায়গা পায় টিন্ডায়া। এরপর স্পেনের সরকার শুধুমাত্র বিজ্ঞানী বাদে আর কাউকে ওই পাহাড়ে আরোহণের অনুমতি দেয়নি।













