শকুনের বাসায় পাওয়া গেল শত শত বছর পুরনো জুতো, রঙিন চামড়া সহ নানা কিছু
এ ধরনের শকুনও বিরল। তাদের বাসাও বিরল। বাসাগুলি একটা গাড়ির সমান বড় এবং ভারী হয়। সেখানেই পাওয়া গেল শত শত বছর পুরনো জিনিসপত্র।
খাড়া সব পাহাড়। খাড়াই ঢাল। লাইম স্টোনের দেওয়াল। সেখানেই নানা খাঁজে তারা বাসা তৈরি করে। এদের বলা হয় বেয়ার্ডেড ভালচার। শকুনেরই একটি প্রজাতি। বড় চেহারার এই শকুনরা এমন সব দুর্গম জায়গাতেই বাসা তৈরি করে যাতে কেউ নাগাল না পায়।
সেখানেই এবার পাওয়া গেল মানুষের তৈরি কয়েক শো জিনিসপত্র। যার বয়স ৭০০ বছর তো হবেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেইসব মধ্যযুগীয় জিনিসপত্রের মধ্যে পাওয়া গেছে সে সময় ঘাসের তৈরি জুতো, রং করা চামড়া, হাড়।
এছাড়া মানুষ সে সময় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতেন তাও পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে পাখির পালক এবং এমন নানা জিনিস। মানুষের ব্যবহার করা সেসব জিনিস এই শকুনরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সংগ্রহ করে থাকে। তাদের বাসায় এনে রাখে। যা দেখার পর গবেষকেরা অবাক হয়ে গেছেন।
৬০০-৭০০ বছরের পুরনো সব মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র এখনও সুন্দরভাবে রয়েছে শকুনদের নিশ্চিন্ত বাসায়। তাও আবার একদম যেমনকার তেমন! বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ঠান্ডা এবং শুকনো আবহাওয়ার জন্য এগুলি শকুনের বাসায় শত শত বছর ধরে রয়ে গেছে। কোনও ক্ষতি হয়নি।
কখনও ঝড় হলে কেবল কিছু জিনিস পড়ে যায় বাসা থেকে। তখন সেগুলি অনেক নিচে পাহাড়ের পাদদেশে পড়ে যায়। তবে অধিকাংশই বাসা থেকে পড়েনা। কারণ বাসাগুলি খুবই ভারী ও মজবুত হয়। আর পাহাড়ের খাড়াই ঢালের খাঁজে হওয়ায় সেখানে মানুষ পৌঁছতে পারেনা।
শকুনের বাসায় ৬০০-৭০০ বছর পুরনো মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র পাওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়ে নানা সংবাদমাধ্যমে। স্পেনের দক্ষিণ অংশের এই পাহাড়ের ঢালে এমন বেশ কয়েকটি বেয়ার্ডেড শকুনের বাসা এবং সেখানে মানুষের ব্যবহার করা মধ্যযুগের জিনিসপত্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ঠিকই, তবে ঠিক কোথা থেকে তা পাওয়া গিয়েছে তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। যাতে সেখানে সাধারণ মানুষ না যাওয়ার চেষ্টা করেন সেজন্যই কোথায় এই বাসাগুলি রয়েছে তার সঠিক অবস্থান প্রকাশ্যে আনা হয়নি।













