Health

কোনও মানুষ এখানে গেলেই তেড়ে আসছে নানা ভাইরাস, বলছে গবেষণা

এ ধারনা বিশেষ ছিলনা। মানুষ জানার নেশায় কোথায় কোথায় পৌঁছে যান! কিন্তু এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে পৌঁছলেই তেড়ে আসছে ভাইরাস।

এখানে পৌঁছে গেলেই মানুষের দেহে থাকা শ্বেত রক্তকণিকা তার চরিত্র বদলে ফেলছে। ফলে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় তার প্রভাব পড়ছে। অনেক কমে যাচ্ছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। আর ঠিক তখনই আশপাশে থাকা ভাইরাস তেড়ে আসছে তার দিকে।

সহজেই কাবুও করে ফেলছে। কারণ ভাইরাসকে পাল্টা জবাব ছুঁড়ে দেওয়ার ক্ষমতা, লড়াই করার ক্ষমতা ওই মানুষটির দেহে অনেকটাই ততক্ষণে হ্রাস পেয়েছে। এমনই দাবি করছেন কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

আবার তাঁরা এটাও দাবি করছেন যে সেখান থেকে ফিরলেই ফের শ্বেত রক্তকণিকা তার স্বাভাবিক কাজ শুরু করে দিচ্ছে। ফলে ফিরে আসছে স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।

এখন প্রশ্ন হল কোথায় গেলে এমনটা হচ্ছে? এমন হচ্ছে মহাকাশে গেলে। মহাকাশে পৌঁছে দীর্ঘদিন কাটান নভশ্চরেরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাঁরা গবেষণা করেন। মহাকাশে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে ভেসেও আসেন। অনেক গবেষণামূলক ও মেরামতির কাজ করেন।

Astronaut
নভশ্চর, প্রতীকী ছবি

এই নভশ্চরদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাঁরা প্রায়ই মহাকাশে পৌঁছে ত্বকের সংক্রমণে ভোগেন। শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যাতেও ভোগেন। ঘা হয়ে যায় অনেকের দেহে। সবই হয় নানা ধরনের ভাইরাসের কারণে।

আর সেসব ভাইরাস তাঁদের আক্রমণ করতে পারে সহজেই। কারণ তাঁরা মহাকাশে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় তাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

এখন মহাকাশে ঘোরাফেরা মানুষের বাড়ছে। মহাকাশে বেড়াতে যাওয়াও শুরু হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা মহাকাশে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে মানুষকে। সে তো তবু অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু নভশ্চরদের এই সমস্যা কিন্তু হচ্ছে।

বিভিন্ন মহাকাশচারীকে পরীক্ষা করার পর গবেষকেরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। খোঁজ পেয়েছেন ওই মহাকাশচারীরা মহাকাশে পৌঁছনোর পর তাঁদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আচমকা কমে যাওয়ার বিষয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *