Lifestyle

৫০ বছর পর নতুন করে কফির স্বাদ বাড়াচ্ছে কলা

কফি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। যদিও এদেশে মানুষ চায়ের সঙ্গেই বেশি পরিচিত। তবে যাঁরা কফি পছন্দ করেন তাঁদের জন্য ৫০ বছর পর ফিরছে অন্য কফি।

১৯৭০ সাল নাগাদ এর সূচনা হয়েছিল। ৭০-এর দশকে ভারত থেকে কিছুটা দূরে এই দেশে কফিকে অন্যভাবে খাওয়ার চল শুরু হয়। কোরিয়ায় তখন কফি হত বেশ কড়া। সেই কফির কড়া ভাবের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় কলা।

কফির কড়া স্বাদের সঙ্গে কলার মিষ্টি ভাবকে মিশিয়ে একটা অসাধারণ নতুন স্বাদের পানীয় তৈরি করা হয়। আপাত সাধারণ এই পানীয়ের পুষ্টিগুণ ছিল অসীম। কলার কারণে পটাশিয়াম ও ফাইবারের উপস্থিতি থাকায় এটি শরীরের জন্যও বেশ উপকারি।

৭০-এর দশকের সেই কোরিয়ান কফিই আবার সম্প্রতি ফিরছে। ফিরছে নেটপাড়ার হাত ধরে। সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশের দুগ্ধ শিল্পকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য এবং পুষ্টিগুণের নিরিখে ব্যানানা মিল্ক নামে একটি পানীয়কে উৎসাহ দিতে থাকে। পানীয়টির স্বাদ বাড়াতে তাতে অল্প কফিও যোগ করা হত।

খুব বেশি পেকে যাওয়া কলা দিয়েই এটি তৈরি করা হত। দুধের সাথে কলা মেশানোর ফলে প্রাকৃতিকভাবেই যে মিষ্টি পানীয়টি তৈরি হয় তাতে পুষ্টিরও একটা ভূমিকা রয়েছে।

আর এর সাথে কফি যোগ করলেই তা ক্যাপুচিনো থেকে লাটে অবধি নানারকম স্বাদের যোগান দিতে পারে। তাই ১৯৭০-এর সেই ব্যানানা কফি আবার নতুন করে পানীয়ের জগতে তার জায়গা করে নিচ্ছে।

সবচেয়ে বড় কথা এই কফির জন্য কোনও ক্যাফেটেরিয়া বা রেস্তোরাঁর দ্বারস্থ হতে হবেনা। ঘরেই খুব সহজে অল্প কয়েকটি উপকরণ দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটে এই কফি বানিয়ে নেওয়া যায়। এর জন্যে না লাগে কোন এস্প্রেসো মেশিন আর না প্রয়োজন বিরাট খাটুনির। ঘরে থাকা রোজের ব্যবহারের মিক্সিং জারেই এটি তৈরি করা যায়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *