ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সমাধি, স্মৃতির উদ্দেশ্যে বসল সমাধিশিলা
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা প্রিয়জন মারা গেলে তাঁর সমাধিস্থলের ওপর পাথরের ফলক তৈরি করে তাঁর নাম সহ জন্ম ও মৃত্যুর দিন লেখেন। এক্ষেত্রে হল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের।
![South Korea](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2022/06/south-korea.jpg)
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনও ওয়েবসাইট অ্যাকসেস করতে হলে সবার আগে যেটা দরকার তা হল ওয়েবব্রাউজার।
এখন অধিকাংশ মানুষ গুগলের ওয়েবব্রাউজার ক্রোম দিয়ে নিজের পছন্দের ওয়েবসাইটে পৌঁছে যান। কিন্তু একটা সময় ছিল এই কাজের প্রায় পুরো দায় নিজের কাঁধে বহন করেছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। মাইক্রোসফট সংস্থার এই ওয়েবব্রাউজার যখন ২৭ বছর আগে পরিষেবা প্রদান শুরু করে তখন কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যতম প্রধান ভরসার নাম ছিল এই ব্রাউজারটি।
আদি ওয়েবব্রাউজারটি চলতি সপ্তাহে তার ছুট থামিয়েছে। মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে যে তারা বন্ধ করছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পরিষেবা। দীর্ঘ ২৭ বছর নিরলস পরিষেবা দেওয়ার পর অবশেষে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মৃত্যু অনেক মানুষের জন্যই ছিল খুবই স্মৃতিমেদুর।
বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া দেশগুলির অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানকার এক সফটওয়্যার ডেভেলপার এই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ২৭ বছরের পরিষেবার ইতি ঘোষণায় এই ওয়েব ব্রাউজারের স্মৃতিকে অন্যভাবে উস্কে দিয়েছেন।
তিনি প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধিতে সমাধিশিলা স্থাপন করে সেখানে তাঁর নাম, জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ যেভাবে লিখে রাখা হয় তেমনই করেছেন।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের একটি সমাধিস্থল তৈরি করেছেন তিনি। সেখানে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি সমাধিশিলাও স্থাপন করেছেন। এই সমাধিশিলা এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের অন্যতম চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।