লুকিয়ে সূর্যকে পাক খেয়ে চলেছে সে, মানুষ তার কথা জানত না
সৌরজগতের বিভিন্ন ঘটনা মানুষের কাছে আলাদাভাবে আকর্ষণীয়। সূর্যের পরিবারে নানা গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুর অবস্থান। তবে সূর্যের উজ্জ্বল আলোর কারণে এদের মধ্যে কোনও কোনওটি অদৃশ্য থাকে।
বহুদিন ধরেই সৌরজগতে অবস্থানকারী এক গ্রহাণু সূর্যের চারপাশে ঘুরে চলেছে। কিন্তু সূর্যের আলোর তীব্র ঝলকানিতে এতদিন তার দেখা পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর কক্ষপথ ধরেই এই গ্রহাণুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সদ্য এই গ্রহাণুটির খোঁজ পেয়েছেন। গ্রহাণুটির নাম ‘২০২৫ এসসি৭৯’। এর ব্যাস প্রায় ৭০০ মিটার। এটি ১২৮ দিনে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এখন অবধি সৌরজগতে যত গ্রহাণুর খোঁজ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে গতিতে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমেরিকার এক মহাকাশ বিজ্ঞানী প্রথম ২০২৫ এসসি৭৯ নামের এই গ্রহাণুটির খোঁজ পান। সূর্যকে খুব কাছ থেকে প্রদক্ষিণ করায় সূর্যের প্রবল আলোয় ২০২৫ এসসি৭৯ এতদিন অদৃশ্য অবস্থায় ছিল। এই ধরনের অদৃশ্য গ্রহাণুগুলি অনেকসময়েই পৃথিবীর জন্য বিপদসংকেত বয়ে আনে।
এটি একটি আটিরা গ্রহাণু। যেসব গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথ ধরেই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাদের বলা হয় আটিরা গ্রহাণু। এখন অবধি সবমিলিয়ে মোট ৩৯টি আটিরা গ্রহাণুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ২০২৫ এসসি৭৯ পৃথিবী বাদে শুক্রের কক্ষপথের ভিতরেও ঘোরে। আবার কখনও এটি বুধের কক্ষপথেও ঢুকে পড়ে।
এর আগে বিজ্ঞানীরা ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’ নামে আরও একটি গ্রহাণুর খোঁজ পান। সেটি সিটি কিলার নামে পরিচিত ছিল। যদিও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে জানিয়েছিলেন ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়। সেটি বড়জোর চাঁদের মাটিতে ধাক্কা মারতে পারে। যদিও সে সম্ভাবনাও খুব কম।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, সাধারণত রাতের আকাশেই গ্রহাণু নিয়ে গবেষণা করা হয়। তাতে সনাক্তকরণের কাজটি সহজ হয়। কিন্তু সূর্যের আলোর ঝলকানিতে লুকিয়ে পড়া গ্রহাণুগুলি খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। এই ২০২৫ এসসি৭৯ গ্রহাণুর ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। তাই বিজ্ঞানীরা এতদিন এর খোঁজ পাননি।













