পৃথিবীতে যেকোনও সময় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, অদৃশ্য ঘাতকের খবর পেলেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর জন্য মোটেও ভাল খবর নয়। সবার অলক্ষ্যে থেকে পৃথিবীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে ঘাতকের দল। বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই বৃহস্পতি এবং মঙ্গলের মাঝে গ্রহাণু বলয়ের খোঁজ পেয়েছিলেন। কিন্তু পৃথিবীর পড়শি গ্রহের পাড়ায় যে এতগুলো অদৃশ্য গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে তা এতদিন অজানাই ছিল।
তাদের অবস্থানের কারণেই তারা পৃথিবীর কাছে অদৃশ্য। এমনকি কোনও টেলিস্কোপেও তাদের দেখা যায়না। অথচ তারা খুব কাছে রয়েছে। যেকোনও সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে পৃথিবীর জন্য।
সম্প্রতি ব্রাজিলের একদল গবেষক পৃথিবীর প্রতিবেশি গ্রহ শুক্রের আশপাশে এমন ২০টি গ্রহাণুর খোঁজ পেয়েছেন। এরা শুক্রের কক্ষপথের সাথে তাল মিলিয়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এদের কক্ষপথ খুব জটিল এবং পরিবর্তনশীল। প্রায় ১২ হাজার বছর পর পর এদের কক্ষপথের আকার বদলায়।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, শুক্রের কাছে থাকা এরকম নানা আকারের গ্রহাণু একত্রে একটা গোটা বসতি গড়ে তুলেছে। কিন্তু এদের কাউকেই পৃথিবী থেকে দেখা যায়না। সূর্যের আলোয় এরা এমনভাবে ঢেকে থাকে যে খুব জোরাল টেলিস্কোপের সাহায্যেও এরা নজরে আসেনা।
শুক্রের কাছের গ্রহাণুগুলি নিজেদের বলয়ের মধ্যে না থেকেও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তারা পৃথিবীর অনেক বেশি কাছাকাছি রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই গ্রহাণুগুলিই ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের মতে গ্রহাণুগুলির পরিবর্তনশীল কক্ষপথই ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেকোনও সময় তারা শুক্রের কাছে কক্ষপথ তৈরি করে ফেলতে পারে। সেই কক্ষপথের মাধ্যমেই ওই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীতে পৌঁছে যেতে পারে।
গ্রহাণুগুলির একেকটির ব্যস ৩০০ মিটারের মতন। এগুলি পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছলেই পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগবে। এরকম একেকটি গ্রহাণুর ধাক্কায় পৃথিবীতে ৩ থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার গভীর গর্ত তৈরি হতে পারে।
এই সংঘর্ষ থেকে কয়েকশো মেগাটন শক্তি নির্গত হতে পারে। এখনই কিছু না হলেও সুদূর ভবিষ্যতে এদের থেকে পৃথিবীর বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।