এ গ্রহের শুরুতে যে আকার ছিল তাতে ঢুকে যেতে পারত ২ হাজার পৃথিবী
সৌরমণ্ডলের এই গ্রহটির যখন জন্ম হয় তখন তার আকার ছিল তার বর্তন চেহারার দ্বিগুণ। যাতে ঢুকে যেতে পারত ২ হাজার পৃথিবী। আবিষ্কার করলেন ২ বিজ্ঞানী।

সৌরমণ্ডলের জন্ম ঠিক কীভাবে হল। কীভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হল। সেখানে প্রাণ এল। এসব জানার চেষ্টায় একটা অন্যতম দিশা পেল বিজ্ঞান। ২ বিজ্ঞানী কনস্টানটাইন ব্যাটিজিন এবং ফ্রেড অ্যাডামস-এর এক অনন্য আবিষ্কারের কথা নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
যেখানে তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের চর্চা শুরু হয়েছিল বৃহস্পতির ২টি খুদে উপগ্রহ অ্যামলথিয়া এবং থিবি-কে খতিয়ে দেখার মধ্যে দিয়ে। বৃহস্পতির যে ৪টি অতিকায় উপগ্রহ রয়েছে, যেগুলির দেখা প্রথম পেয়েছিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলি, সেই ৪টি উপগ্রহের চেয়েও অনেক বেশি বৃহস্পতির কাছে রয়েছে এই ২ খুদে উপগ্রহ।
যারা বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এদের পর্যবেক্ষণ করেই ২ বিজ্ঞানী বৃহস্পতির প্রকৃত আকার জানার চেষ্টা শুরু করেন। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন বৃহস্পতির যখন জন্ম হয় তখন তার আকার ছিল এখন যে বৃহস্পতিকে দেখতে পাওয়া যায় তার দ্বিগুণ।
যার মধ্যে ২ হাজার পৃথিবী অনায়াসে ঢুকে যেত। তার চৌম্বকীয় ক্ষেত্রও ছিল সে সময় অনেক বেশি। এখন বৃহস্পতিগ্রহের যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তার থেকে ৫০ গুণ বেশি ছিল শুরুর সময় তার চৌম্বকীয় ক্ষেত্র।
বৃহস্পতিগ্রহ সম্বন্ধে এই নতুন করে পাওয়া তথ্য কিন্তু আগামী দিনে সৌরমণ্ডলের গ্রহদের জন্মবৃত্তান্ত আরও পরিস্কার করে জানতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই বৃহস্পতির আকার ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্র নিয়ে এই খোঁজকে এক অনন্য আবিষ্কার বলেই মনে করছেন তাঁরা।