বাবার সেই কথাটা আজও ভুলতে পারেননি মিস্টার ইন্ডিয়ার পরিচালক
তাঁর সিনেমা ৮টি ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার পর বাবাকে ফোন করেন শেখর কাপুর। বাবার সেদিনের কথাটা তিনি আজও ভুলতে পারেননি।

তিনি আপাদমস্তক মধ্যবিত্ত। তাঁর বড় হয়ে ওঠাই একটা মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের মধ্যে দিয়ে। ১৯৪৫ সালে লাহোরে একটি হিন্দু পঞ্জাবী পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা ছিলেন চিকিৎসক। তাঁর পরিবার ছিল নিতান্তই মধ্যবিত্ত মূল্যবোধে ভরা।
তাঁকে তাঁর বাবা শেখাতেন, কখনও কারও কাছে ঋণ কোরোনা। এমন চাকরি করো যা চলে যাবেনা। এমনভাবে চলো যাতে নিজের শেষ জীবনের পেনশনটা সুনিশ্চিত করতে পারো। কিন্তু চাকরির রাস্তায় না হেঁটে শেখর কাপুর হাঁটলেন সিনেমা তৈরির পথে। যাতে তাঁর বাবার ঘোর আপত্তি ছিল।
কিন্তু মিস্টার ইন্ডিয়া, ব্যান্ডিট কুইন, মাসুম সহ একের পর এক কালজয়ী সিনেমার পরিচালক বাবার অমতে সিনেমা তৈরির পথে হাঁটলেও পারিবারিক মধ্যবিত্ত মনটা ঝেড়ে ফেলতে পারেননি।
সম্প্রতি শেখর কাপুর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তাঁর সিনেমার দুনিয়ায় সাফল্য ও তাঁর মধ্যবিত্ত মানসিকতাকে একসঙ্গে টেনে নিয়ে যাওয়াটা তাঁর জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তাঁর বাবার একটি কথা আজও তাঁর কানে বাজে।
শেখর কাপুরের প্রথম বিদেশি সিনেমা এলিজাবেথ। যা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়। এলিজাবেথ ৮টি ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। একথা জানাতে শেখর তাঁর বাবা কুলভূষণ কাপুরকে ফোন করেন।
তিনি যখন তাঁর এই সাফল্যের কথা জানান, তখন তাঁকে বাহবা দেন তাঁর বাবা। তারপর জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা এর মানে কি এই যে শেখর আরও একটি চাকরি পেতে পারেন?
বাবার সেই প্রশ্নটা তাঁকে আজও নাড়া দেয়। শেখর কাপুর স্পষ্ট জানিয়েছেন জীবনে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। তবে পারিবারের এই অতিসাধারণ মধ্যবিত্ত মনটা তিনি ফেলে দিতে পারেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা