National

প্রয়াত দিল্লির ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত

প্রয়াত কংগ্রেস নেত্রী তথা দিল্লির ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। ৮১ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। শনিবার বিকেল ৩টে ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্তমানে দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান ছিলেন। এই জানুয়ারি মাসেই দায়িত্ব পান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন আগেই তাঁকে দিল্লির এসকর্টস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর এদিন চলে গেলেন তিনি।

শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে ট্যুইট করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ট্যুইটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কংগ্রেসের তরফেও ট্যুইট করা হয়। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, শীলা দীক্ষিত ছিলেন চিরকালের কংগ্রেস নেত্রী। দিল্লির রূপ বদলে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কংগ্রেসের তরফে শীলা দীক্ষিতের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করা হয়। রাহুল গান্ধী ট্যুইটে জানান তিনি শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে বিধ্বস্ত। শীলা দীক্ষিতের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব কাছের ছিল। কংগ্রেসের কন্যা বলে শীলা দীক্ষিতকে ব্যাখ্যা করে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেন রাহুল।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত একটানা ৩ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৩ সালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির কাছে হেরে যায় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে সরতে হয় শীলা দীক্ষিতকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ট্যুইট করে সমবেদনা জানান। বলেন দিল্লি তাঁকে কখনও ভুলবেন না। মাঝে ৬ মাসের জন্য কেরালার রাজ্যপালও হন তিনি। তবে পরে ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন শীলা দীক্ষিত। তাঁর মৃত্যু দিল্লি কংগ্রেসে একটা শূন্যতা তৈরি করল।

শীলা দীক্ষিতের জন্ম পঞ্জাবের কাপুরথালায়। রাজনীতির পাঠ তিনি নেন তাঁর শ্বশুরমশাই উমাশঙ্কর দীক্ষিতের কাছ থেকে। উমাশঙ্কর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই সবচেয়ে বেশি নাম ছড়ায় শীলা দীক্ষিতের। মাঝে রাজনীতি থেকে অনেকটা সরে গিয়েছিলেন। তবে হালে ফের তিনি রাজনীতির ময়দানে লড়াই শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুতে কংগ্রেস তাদের এক প্রবীণ নেতাকে হারাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *