World

মোটেও ঘুমিয়ে পড়েনি, ৪৫০ বছর পর জেগে উঠে আগুন উগরে দিল জ্বালামুখ

প্রায় ৪৫০ বছর পার হয়ে গেছে। আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ জ্বলে ওঠেনি। অনেকেই মনে করছিলেন আর হয়তো জাগবে না। কিন্তু আচমকা জেগে উঠেই ভয়ংকর চেহারা নিল সে।

৪৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার জ্বালামুখ একটি গহ্বর ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। খুব যে উঁচু আগ্নেয় পাহাড় এমনটাও নয়। সে যে কখনও জেগে উঠতে পারে তাও কেউ ভাবেননি। কিন্তু সে জেগে উঠল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিটি হঠাৎ জেগে উঠেই ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে।

জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসা গরম ছাই ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছেয়ে গেছে চারধারে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ১৯ হাজার ফুটের বেশি উঁচুতে উঠেছে। এদিকে প্রচুর পরিমাণে গরম ছাই উড়তে শুরু করেছে। যা পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে চলে যাচ্ছে।

প্রশাসনের একটাই নিশ্চিন্দি যে এই গরম ছাই যে পথে উড়ে যাচ্ছে সেই পথে কোনও জনবসতি নেই। কোনও জনবসতিতে ওই ছাই উড়ে গিয়ে পড়তে পারে এমন সম্ভাবনাও এখনই নেই। রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলের কাছে ক্রাশেনিননিকভ আগ্নেয়গিরিটির এই জেগে ওঠা অবশ্য অবাক করেছে সকলকে।


৪৫০ বছরেরও বেশি সময় ঘুমিয়ে থেকেছে সে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে এটা ৬০০ বছরও হতে পারে। এত বছর যে আগ্নেয়গিরি ঘুমিয়েছিল সে আচমকা জেগে উঠল কেন?

বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন এর সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে ভূমিকম্পের। কামচাটকা ভয়ংকর ভূমিকম্পে কাঁপে গত শুক্রবার। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৮। যা অতি ভয়ংকর ভূমিকম্পের তালিকায় পড়ে।

সেই কম্পনই এই আগ্নেয়গিরিকে জাগিয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ ওই কম্পনের পরই এই আগ্নেয়গিরি এতকাল পর আচমকা জেগে উঠেছে।

এদিকে বহু দূর পর্যন্ত জনবসতি না থাকায় আগ্নেয়গিরি থেকে মানুষের কোনও সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছে না প্রশাসন। তবে আগ্নেয়গিরির গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *