দশেরায় রাবণ দহন নয়, দেশের এই মন্দিরগুলিতে হয় রাবণ পূজা
দশেরা মানেই অশুভের ওপর শুভ শক্তির জয়। যাকে প্রতীকী ভাবে রাবণ দহনের মধ্যে দিয়ে পালন করে গোটা দেশ। কিন্তু এ দেশেই কয়েকটি মন্দিরে হয় রাবণ পূজা।

দেশজুড়ে রাবণ দহন দশেরার মূল আকর্ষণ। অশুভের ওপর শুভ শক্তির বিজয়কে প্রতীকী অর্থে প্রকাশ করতে রামের তিরে রাবণবধকে তুলে ধরা হয়। রাবণের বিশাল কুশপুতুল জ্বলে ওঠে দাউদাউ করে। বিনাশ হয় অশুভের।
কিন্তু এই ভারতেই দশেরার দিন কয়েকটি মন্দির রয়েছে যেখানে রাবণ দহন নয়, বরং রাবণ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজস্থানের যোধপুরে রয়েছে একটি রাবণ মন্দির।
মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একাংশের মানুষ বিশ্বাস করেন তাঁরা রাবণের বংশধর। দশেরার দিনটি তাঁরা শোকের দিন হিসাবে পালন করেন। এদিন রাবণের স্মরণে তর্পণ করেন তাঁরা। পূজাঅর্চনাও হয়।
কানপুরের শতাব্দী প্রাচীন দশানন মন্দিরের দরজা আবার বছরে একদিনই মানুষের জন্য খুলে যায়। অনেকে এ মন্দিরে পুজো দেন। এখানে রাবণকে একজন মহাপণ্ডিত ব্যক্তিত্ব এবং পরম শিব ভক্ত হিসাবে তুলে ধরা হয়।
মধ্যপ্রদেশের মান্দোরের একটি অংশের মানুষ রাবণের ভক্ত। তাঁরাই একসময় এখানে রাবণের মন্দির তৈরি করেছিলেন। এটা প্রাচীন বিশ্বাস যে এখানেই রাবণ ও মন্দোদরীর বিয়ে হয়েছিল। এ মন্দিরে অনেক দেবী মূর্তি নজর কাড়ে। এছাড়া নজর কাড়ে হরপ্পা যুগের লিপি।
উত্তরপ্রদেশের বিশরাখে রয়েছে রাবণের আর একটি মন্দির। মনে করা হয় এখানেই রাবণের জন্ম হয়। এমনই বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে ভারতে। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রেও রয়েছে রাবণের মন্দির। যেখানে পূজিত হন রাবণ।