সাধারণের জন্য চিরতরে বন্ধ হয়েছে কুতুবমিনারের দরজা, পিছনে রয়েছে অন্য কারণ
ভারতের অন্যতম প্রাচীন সব স্থাপত্যের মধ্যে কুতুবমিনার অন্যতম। এখনও বহু পর্যটক প্রতিদিন ভিড় জমান এটি দেখতে। কিন্তু কুতুবমিনারে চিরতরে বন্ধ হয়েছে ভিতরে প্রবেশ।

দিল্লিতে অবস্থিত কুতুবমিনার ইট দিয়ে তৈরি বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। স্থাপত্যটি ১১৯৩ সাল থেকে সুলতানি সাম্রাজ্যের পরিচয় বহন করে চলেছে। ১১৯৩ সালে কুতুবউদ্দিন আইবকের নির্দেশে এই স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে এর উপরের তলার কাজ ফিরোজ শাহ তুঘলক ১৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে শেষ করেন। এটি দিল্লির একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।
সুলতানি সাম্রাজ্যে নির্মিত এই অসাধারণ শিল্পকীর্তিটি দেখার জন্য প্রবল আগ্রহ রয়েছে। কুতুবমিনারের আশপাশে আরও কয়েকটি প্রাচীন নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এখন আর কুতুবমিনারের ভিতর প্রবেশ করা যায়না। চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে এর ভিতরে প্রবেশ করার দরজা।
দিনটা ছিল ১৯৮১ সালের ৪ ডিসেম্বর। প্রতিদিনের মতো সেদিনও খুব ভিড় জমেছিল কুতুবমিনারের সামনে। ভিতরেও ঢুকেছিলেন বহু পর্যটক। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল স্কুল পড়ুয়া। এমন সময় হঠাৎ গোটা কুতুবমিনারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মিনারের ভিতরে অন্ধকার ছেয়ে যায়।
এরই মধ্যে আবার গুজব রটে যে কুতুবমিনার নাকি ভেঙে পড়ছে। এই শুনে ভিতরে থাকা পর্যটকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। ছোট জায়গার মধ্যে তাড়াহুড়ো করে একে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে বার হতে গিয়ে সবাই পড়ে যান। দরজা অবধি পৌঁছনোর আগেই পদপৃষ্ঠ হয়ে ৪৫ জনের প্রাণ যায়। অনেকে আহত হন।
এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া–র তরফে কুতুবমিনারের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটির সৌন্দর্য শুধুমাত্র বাইরে থেকেই উপভোগ করা যায়।