SciTech

মাইনে দিতে হয়না বাড়ির পরিচারিকাকে, একদিনও কামাই নেই তার

বাড়ির কিশোর ছেলেটির হাত ধরে এমন এক পরিচারিকার বন্দোবস্ত হয়েছে যার মাস গেলে মাইনে গুনতে হয়না। অথচ কাজ করে নিখুঁত।

যিনি শুনছেন তিনিই একবার সময় পেলে দেখে যাচ্ছেন। এমন এক পরিচারিকা পাওয়া মানে তো হাতে চাঁদ পাওয়া। যাকে কিনা মাইনে গুনতে হয়না! আবার কামাই কাকে বলে সে জানে না! মাসে কেন বছরেও একদিন কামাই নেই!

কাজ করে একদম নিখুঁত। তবে তার কাজ বাঁধা। ওই কাজের বাইরে সে আর কোনও কাজ করবেনা। তা হোক, কিন্তু বিনে পয়সায় এমন এক কাজের মানুষ পাওয়া তো কার্যত অসম্ভব!


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে এক ১৭ বছরের কিশোর। পড়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে। কেরালার বেনগড়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র মহম্মদ শিয়াদ এখন খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে তার বাড়ির পরিচারিকার জন্য। যাকে সে নিয়ে আসেনি কোথাও থেকে, বরং জন্ম দিয়েছে। নাম দিয়েছে পাথুটি।

তবে পাথুটি কোনও রক্তমাংসের নারী নয়, বরং প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে তৈরি একটি রোবট। যে খাবার দিয়ে যাওয়ার কাজ করতে পারে। নিয়ে আসতে পারে খবরের কাগজ। সকাল থেকে রাত সে খাবার দিয়ে যেতে ওস্তাদ।

আলট্রাসোনিক সেন্সর সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিয়াদ পাথুটিকে বানিয়েছে। আদপে এটি ছিল তার স্কুলের প্রোজেক্ট। সেই প্রোজেক্টে সে এতটাই সফল হয়েছে যে এখন খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে সে। তার পাথুটিকে দেখতে বাড়িতে এখন আত্মীয় পরিজন থেকে পাড়া প্রতিবেশিদের আনাগোনা লেগেই আছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *