১০০ বছর পর বিখ্যাত নদীতে স্নানের সুযোগ, আনন্দে জলে ডুব দিলেন শহরবাসী
গত ১০০ বছরে এই নদীর জলে কাউকে নামতে দেওয়া হয়নি। সামনে টলটলে জল বয়ে গেলেও তাতে একটা ডুবও দেওয়ার সুযোগ পাননি শহরবাসী। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠল।

গত ১০০ বছরে কম জল বয়ে যায়নি নদী দিয়ে। টলটলে জল। দেখলেই ডুব দিয়ে স্নান করতে ইচ্ছা জাগে। যাঁরা সাঁতার জানেন তাঁরা সাঁতার কাটতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। কিন্তু নদীর ধারে গিয়ে নদীকে চোখে দেখে উপভোগের সুযোগ পেলেও তার জলে নামার অধিকার কারও ছিলনা।
এই বিখ্যাত নদীতে স্নান নিষিদ্ধ ছিল। নিষিদ্ধ ছিল জলে নামা। শতবর্ষ পার করে সেই নিষেধাজ্ঞা অবশেষে উঠল। যা শোনার পর শহরের অনেক বাসিন্দাই নিজেদের আর আটকে রাখতে পারেননি। লাফ দিয়ে জলে নেমেছেন। সাঁতারে মত্ত হয়েছেন। স্নান করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
ফ্রান্সের রাজধানী শহর প্যারিসের বুক চিরে বয়ে গেছে বিখ্যাত সিন নদী। প্যারিস শহরটাই গড়ে উঠেছে এই সিন নদীর ভরসায়। সেই সিন নদীর জলে শহরবাসীর নামা নিষিদ্ধ ছিল।
গত ১০০ বছর ধরে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় কার্যত প্যারিস শহরের মানুষ ধরেই নিয়েছিলেন সারাজীবন সিনকে চোখে দেখে উপভোগ করতে হবে। তার জলে স্নানের সুযোগ কখনও হবেনা।
কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা শতবর্ষ পার করে উঠে গেল। প্যারিস শহরের প্রশাসনের পক্ষ থেকেই ২টি কাঠের ডেক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই ডেকের আশপাশেই স্নান করার অধিকার পেয়েছেন শহরবাসী।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? ১০০ বছর পর কেন নামতে দেওয়া হল সিন নদীতে? এর উত্তর লুকিয়ে আছে গতবছরের অলিম্পিকসে। অলিম্পিকস উপলক্ষে সিন নদীর জল পরিস্কার করার কাজ হয়েছিল। খরচ হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
এই বিপুল অর্থব্যয়ে নদী সাফাইয়ের পর সিন নদীর জল এখন ইউরোপে জলের গুণমান মানদণ্ডে সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। তাই সিন নদীতে মানুষ স্নান করায় কোনও সমস্যা নেই বলে মনে করছে প্রশাসন। কারণ যাই হোক, সিনের জলে স্নান করার সুযোগ পেয়ে নিজেদের আর ধরে রাখতে পারেননি প্যারিসবাসী।