৪টি সোনার পদক জিতে নিলেন সোনার ঠাকুমা, দিলেন সুস্থতার চাবিকাঠির হদিশ
৩০ পেরোলেই মানুষ বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধায় কাহিল হয়ে পড়েন। ৯০ ঊর্ধ্ব মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই বেশ নজর কাড়ে। সেখানে এখনও সোনার পদক জিতে বেড়াচ্ছেন সোনার ঠাকুমা।
মুখে চওড়া হাসি আর হাতে ৪টে স্বর্ণপদক নিয়ে হেঁটে আসছেন এক ‘তরুণী’। তরুণীই বটে। খাতায় কলমে বয়স ৯৪ হলেও শারীরিক সক্ষমতায় তিনি যুবক যুবতীদেরও বলে বলে গোল দেবেন।
বিকানেরের অ্যাথলিট পানা দেবী গোদারার কথা হচ্ছে। গত মার্চেই বেঙ্গালুরুতে ৪৫ তম মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৩টি বিভাগে সোনা জেতার পর আরও একবার এই সোনার মেয়ের জয়জয়কার। তবে এবার তিনি ৪টি আলাদা বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছেন।
চেন্নাইতে আয়োজিত এশিয়াড চ্যাম্পিয়নশিপে ৪টি স্বর্ণপদক জয়ী পানা দেবী এখন বিকানের সহ গোটা রাজস্থানের গর্ব। ‘গোল্ডেন গ্র্যান্ডমা’ নামে পরিচিত এই অ্যাথলিট ১০০ মিটার দৌড়, ডিসকাস থ্রো, শট পাট এবং জ্যাভেলিন থ্রো-তে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন।
বিকানেরের চৌধুরি কলোনির বাসিন্দা পানা দেবীর কাছে ঘরের কাজকর্মের মতই খেলাধুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। গোয়ালের গরু, মহিষগুলোকে তিনি নিয়মিত দেখাশোনা করেন। পানা দেবী এই ফিটনেসের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলেন। যে কারণে সাফল্য বারবার তাঁর কাছে এসে ধরা দেয়।
বাঁধাধরা জীবনযাত্রা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমই তাঁর সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র। জীবনের প্রতি পানা দেবীর এই উপলব্ধিই তাঁকে আবারও সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। এই উপলব্ধির কারণেই এত বয়সেও তিনি খেলাধুলোর প্রতি তাঁর একাগ্রতা এবং অদম্য উৎসাহকে ধরে রাখতে পেরেছেন।
পানা দেবী আবারও প্রমাণ করে দিলেন দৃঢ় সংকল্পের কোনও বয়স হয়না। তাঁর এই পদক তাঁকে সাফল্যের শীর্ষে বসানোর সাথে সাথেই দেশের সব বয়সের নারী, পুরুষের জন্য এতটি বার্তা দিল। সকলেরই উচিত সুস্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করা। পানা দেবীর সাফল্য সেই বার্তাই বহন করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

