World

মিষ্টি কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা, উত্তাল দেশ

এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। গত রবিবার ছিল ছুটির দিন। বাড়িতে অতিথি, আত্মীয়স্বজনরা এসেছেন। তাঁদের মিষ্টিমুখ করাতে ৮ বছরের মেয়েকে বাড়ির কাছে বাজারে পাঠায় তাঁর বাড়ির লোক। অনেকটা সময় কেটে গেলেও মেয়ে মিষ্টি কিনে না ফেরায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে নাবালিকার পরিবারের। তন্নতন্ন করে নাবালিকার খোঁজ শুরু করেন তাঁর পরিজন ও প্রতিবেশিরা।

অবশেষে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পরিত্যক্ত নির্জন রাস্তায় নাবালিকাকে খুঁজে পান তাঁরা। দেখেন, রাস্তার একধারে পড়ে রয়েছে নাবালিকার পুড়ে কালচে হয়ে যাওয়া অচৈতন্য শরীরটা। গুরুতর জখম নাবালিকাকে নিয়ে পরিবারের লোক ছুটে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় লাহোরের জিন্না হাসপাতালে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর গণধর্ষণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, ফাঁকা রাস্তায় প্রথমে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। প্রমাণ লোপাট করতে পরে নাবালিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় তারা।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যমে মানুষে টানাটানির পর গত মঙ্গলবার হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নির্যাতিতা। তাঁর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন লাহোর ও পাক-পাঞ্জাবের বাসিন্দারা। অভিযোগ, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ইদানিং ধর্ষণের হার বেড়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে কাসুরে ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে জিটি রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। দোকান বাজার বন্ধ রেখে প্রতিবাদে শামিল হন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তদন্তে নেমে নাবালিকা খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ১ ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *