Lifestyle

মনের মানুষের খোঁজে লাভ ট্রেন-এ এক অন্য সফর

মনের মানুষ খুঁজে দিতে বাস্তবিকই আস্ত একটা ট্রেনের ব্যবস্থা আছে। যার নামই লাভ ট্রেন অর্থাৎ ভালবাসার ট্রেন। সেই ট্রেনে চাপার সৌভাগ্য অবশ্য শুধুই সিঙ্গলদের।

Published by
News Desk

ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত সুপারহিট ‘জব উই মেট’ সিনেমার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। যেখানে একটা ট্রেন বদলে দিয়েছিল প্রেমে প্রত্যাখ্যাত বিখ্যাত ব্যবসায়ী পুত্র আদিত্য কাশ্যপ ওরফে শাহিদ কাপুরের অগোছালো জীবন। চুলবুলি প্রাণোচ্ছল পাঞ্জাবি মেয়ে গীত ওরফে করিনার ভালোবাসার সন্ধান তো ট্রেনের সূত্রেই পেয়েছিলেন শাহিদ।

মনের মানুষ খুঁজে দিতে বাস্তবিকই আস্ত একটা ট্রেনের ব্যবস্থা আছে নিউজিল্যান্ডে। যার নামই ‘লাভ ট্রেন’ অর্থাৎ ভালবাসার ট্রেন। সেই ট্রেনে চাপার সৌভাগ্য অবশ্য শুধুই ‘সিঙ্গল’-দের। তা তিনি যে বয়সেরই হন না কেন।

৪ কামরার ট্রেনটি ডুনেদিন থেকে যাত্রা শুরু করে ১৫৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সফরকারীদের নিয়ে পৌঁছয় মিডলমার্চ নামের ছোট্ট সুন্দর শহরে। সেখানে সঙ্গী বা সঙ্গিনীহীনদের জন্য আয়োজন করা হয় এক ধরণের বিশেষ অনুষ্ঠান। যার নাম ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড ব্লিং’।

১৯৫০ সালে নিউজিল্যান্ডে এই বিশেষ ধরণের নৃত্যানুষ্ঠানের প্রচলন হয়। সেই অনুষ্ঠানে কোনও ব্যক্তি নাচের মধ্যে দিয়ে খুঁজে নেন তাঁর মনের মানুষকে।

একসময় জীবনসঙ্গী খোঁজার নামে অনুষ্ঠানে বা ট্রেনের ভিতর মাত্রাতিরিক্ত মত্ততার অভিযোগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘লাভ ট্রেন’-এর যাত্রা। তবে একা থাকা মানুষদের আনন্দ দিতে নব কলেবরে নতুন নিয়মে আবার পাহাড়ের গা ঘেঁষে তার পথ চলা শুরু করেছে ‘লাভ ট্রেন’।

অভাবনীয় সেই সফর এবং স্বপ্নিল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পকেটে যদিও কয়েক লক্ষ টাকার রেস্ত থাকতে হবে। ‘লাভ ট্রেনের’ রোমাঞ্চকর সফরযাত্রায় মূলত একাকী মহিলারাই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকেন।

শহরের বাইরে পাহাড়ের কোলে বাস করা কোনও এক অপরিচিত সহজসরল মেষপালক, কৃষক বা ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের। নাচ-গান, সুরাপান, সুস্বাদু খাবার সহযোগে একে অপরকে চিনে ওঠার চেষ্টা করেন।

তবে মজার বিষয়, শুধু আগামীদিনের প্রেমিক প্রেমিকার সন্ধানেই সকলে ‘লাভ ট্রেনে’ সফর করেন না। দূরে থাকা প্রিয় বন্ধু বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিশেষ মুহুর্ত কাটাতেও অনেকে রওনা দেন মিডলমার্চে।

Share
Published by
News Desk