Kolkata

হ্যাপি নিউ ইয়ার, প্রাপ্তবয়স্ক একবিংশ

ভারতে তখন বিকেল। সবে শুরু হয়েছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পার্টির আয়োজন। চলছে সাজগোজ। ঠিক সেই সময়েই পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে আতসবাজির রোশনাইতে বরণ করা হল নতুন বছরকে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। যেখানকার অকল্যান্ড স্কোয়ারের চোখ ধাঁধানো বর্ষবরণ টিভির পর্দায় দেখে উল্লসিত ভারতীয়রাও। নতুন বছরে পা মানেই একবিংশ শতাব্দী প্রাপ্তবয়স্কের কোঠায় পা রাখল। বয়স হল ১৮। অকল্যান্ডের পর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরই টিভির পর্দায় ফুটে উঠল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারের ছবি। সেই চিরাচরিত আতসবাজির খেলা। অন্ধকারের বুক চিরে আলোয় ভেসে এল নতুন বছর। এরপর এক এক করে চিন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া হয়ে এগোতে থাকে বর্ষবরণের উল্লাস। আর ভারতীয় ঘড়ি টিকটিক শব্দে আনন্দের আবেশে মিশে এগোতে থাকে রাত ১২টার দিকে।

রাত যতই গড়িয়েছে শহরের বিভিন্ন নাইট ক্লাব থেকে হোটেল, পাব থেকে পাড়া। সর্বত্রই গানের সুর উদ্দাম হয়েছে। উল্লাস বাঁধন ছেড়েছে। মাদকতায় মাতাল হয়েছে রাতপরী। এই আনন্দের ভেলায় চেপে একসময়ে এল সেই চরম মুহুর্ত। টিক টিক করে সেকেন্ড এগিয়েছে আর হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়েছে রাতজাগা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা, হ্যাপি নিউ ইয়ারের কোরাস আর নতুন বছরের উচ্ছ্বাসে উদ্বেল হয়েছে শহর। ফোনের ঘণ্টা বেজেছে মুহুর্মুহু। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার থেকে এসএমএস বা ফোনে আছড়ে পড়েছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের ঢেউ। রাতের পার্টি আরও উদ্যম বাড়িয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ আনন্দ উচ্ছ্বাসে প্রতি বছরের মতই এবারও কলকাতা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে নিজের মত করে। নীলকণ্ঠ পরিবারের তরফ থেকেও সকলের জন্য রইল নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সকলকে হ্যাপি নিউ ইয়ার!



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button