ঐতিহাসিক সেই জিনস, ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম - @denimdoctors
জিনস যাঁরা পরেন তাঁরা ডেনিম শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। এই ডেনিম জিনসের পুরাতত্ত্ববিদ হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি নেমে পড়েছিলেন একটি পরিত্যক্ত খনিতে।
বহু পুরনো ওই খনি থেকে খনিজ উত্তোলন অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। হেলায় পড়ে থাকা খনির মধ্যে যা রয়ে গেছে তা জঞ্জালের স্তূপ হয়ে সেখানেই পড়ে আছে।
সেই জঞ্জাল ঘাঁটতেই পরিত্যক্ত খনিটিতে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানেই জঞ্জাল ঘেঁটে একটি জিনস পান তিনি। লিভাই সংস্থার ওই জিনসটি ১৮৮০ সালের।
মনে করা হচ্ছে খনিতে কাজ করা কোনও শ্রমিক ওই জিনসটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে ফেলে যান। সেটি মিশেল হ্যারিস নামে ওই স্বঘোষিত ডেনিম পুরাতত্ত্ববিদ তুলে নিয়ে আসেন।
সেটি ভাল করে সাফ করে নেওয়ার পর দেখা যায় জিনসটি পরার মত অবস্থায় এখনও রয়েছে। তবে তা একটু ঠিক করে নিতে হবে।
এই ১৪৩ বছর পুরনো জিনসটির মত আর একটিই জিনস এখনও রয়েছে বলে জানা যায়। যা পরার মত অবস্থায় নেই। এটিই সেক্ষেত্রে একমাত্র এতটা পুরনো জিনস যা এখনও পরার মত অবস্থায় রয়েছে।
পশ্চিম আমেরিকার পরিত্যক্ত খনি থেকে উদ্ধার হওয়ার পর জিনসটি নিলামে তোলা হয়। অ্যাজটেক শহরের কাছে একটি উৎসবে সেটি নিলাম হয়।
পুরাতনি দিক থেকে অতি বিরল বাকলব্যাক অ্যাডজাস্টার থাকা জিনসটির দাম ওঠে ভারতীয় মুদ্রায় ৭২ লক্ষ টাকা! তাতেই বিক্রি হয় ১৮৮০ সালের বিরল এই জিনস।