World

নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল ক্ষুব্ধ জনতা

জ্বলছে প্রতিবেশি দেশ। ফলে সীমান্তে আরও কড়া হয়েছে ভারতও। এদিকে পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। জ্বলছে প্রেসিডেন্টের বাড়িও।

ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে যা নিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের রাস্তায় নামা সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বসিয়েও ক্ষোভের ধাক্কায় পিছু হঠতে বাধ্য হয় সরকার। সোমবার রাতেই তুলে নেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা।

কিন্তু তাতে ক্ষোভের আগুন তো নেভেইনি, বরং মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও হাতের বাইরে চলে গেছে। ভারতের পড়শি দেশ নেপাল জ্বলছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ শর্মা ওলি-র বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা।

আগুন লাগানো হয়েছে নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়িতেও। বাদ যায়নি অনেক মন্ত্রীর বাড়িও। আতঙ্কে একের পর এক মন্ত্রী পদত্যাগ করে ওলি সরকারের থেকে নিজেদের দূরত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।

যাতে তাঁদের ওপর বিক্ষোভের আঁচ না এসে পড়ে। বিক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড-র বাড়িও বিক্ষোভের আঁচ থেকে রেহাই পায়নি।

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছল কীভাবে? এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সমাজ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওলি সরকার। তা জানার পরই নেপালের নব্য প্রজন্ম রাস্তায় বার হয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়। যা বাড়তেই থাকে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন গুলি চালায়। যাতে ১৯ জনের প্রাণ যায়। এতে বিক্ষোভকারীরা ভয় পাওয়া দূর মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভের তেজ আরও অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

কেবল সমাজ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিই যে কারণ তা মানতে রাজি নন অনেকেই। আসলে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভটা অনেকদিন ধরেই জমে ছিল। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও তাই সরব বিক্ষোভকারীরা।

মন্ত্রীদের সন্তানদের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। ফলে অভিযোগ অনেক ছিলই। সমাজ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেবল তাতে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে। যার ফল হয়েছে মারাত্মক। নেপালে এখন কাঠমান্ডু সহ অনেক জায়গায় কার্ফু জারি হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *