World

ইয়েতি নিয়ে মহা ফাঁপরে নেপাল সরকার

Published by
News Desk

নেপাল অবশ্যই বিশ্বের এক অন্যতম পর্যটনস্থল। যেখানে সারা বছরই দেশ বিদেশ থেকে মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। পর্যটন থেকে বড় অঙ্কের ব্যবসা পায় নেপাল। তাদের অর্থনীতির বড় ভরসা সেই পর্যটনকে আরও বৃহত্তর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে, মানুষকে নেপালে আসতে উৎসাহ দিতে শুরু হয়েছে ‘ভিশন ২০২০’। সেই প্রকল্পকে সামনে রেখে কাঠমান্ডুকে সাজিয়েছে সরকার। সেখানে বসেছে হিমালয়ের পৌরাণিক তুষার দানব ইয়েতি-র মূর্তি। একটা নয় অনেকগুলি। আর তাতেই ফাঁপরে পড়েছে নেপাল সরকার।

ইয়েতি-র বহু কাল ধরে চলে আসা লোককাহিনি অনুযায়ী এটি হিমালয়ের পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা তুষার প্রাণি। ইয়েতি কেউ দেখেননি। কিন্তু তার নাকি অস্তিত্ব আছে। এমনই এক বিশ্বাস চলেই আসছে। মানুষের কাছে অন্যতম কৌতূহলের বিষয়ও ইয়েতি। ইয়েতি-র দেখা না পাওয়া গেলেও তার চেহারা নিয়ে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে পাহাড়ি মানুষের কাছে। সে কথা মাথায় রেখে সেই চেহারার আদলেই ২২টি ইয়েতির ফাইবার গ্লাসের মূর্তি বানিয়ে তা কাঠমান্ডু শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসিয়েছিল নেপাল সরকার। আর বসার পরই শুরু হওয়া বিতর্কের জেরে এখন এত অর্থ খরচ করে বসানো মূর্তি এক এক করে খুলে নেওয়া চলছে।

পড়ুন : বরফের ওপর দানবীয় পায়ের ছাপ, ইয়েতি জল্পনা উস্কে দিল সেনা

অনেকে বলছেন মূর্তিগুলি জাপানি সুমো ফাইটারদের মত দেখতে হয়েছে। কেউ বলছেন হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতাদের তুলে ধরছে এই মূর্তিগুলি। মূর্তিগুলির ওপর যেভাবে দেবতাদের ছবি দেওয়া হয়েছে তাতে অনেকে আবার সমালোচনা ছেড়ে ওই মূর্তিগুলির সামনে বসে পুজোও শুরু করেছেন। সমালোচকরা অবশ্য বলছেন ইয়েতি হল পৌরাণিক দানব। যা মানুষের যাবতীয় ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করছে।

বৌদ্ধনাথ ও বসন্তপুর এলাকায় বসানো ২টি ইয়েতি মূর্তির সারা গায়ে আঁকা দেবতাদের ছবির ওপর পেন্ট করে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। ধর্মীয় সমস্যাকে সামনে রেখে এত খরচ করে তৈরি ইয়েতি ম্যাসকট সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন। ১০৮ জন শিল্পী এই ইয়েতি ম্যাসকট তৈরি করেছেন। তৈরি করতে ৪ মাস সময় নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ম্যাসকট খুলে নিতে হচ্ছে নেপাল সরকারকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Nepal

Recent Posts