National

লাইভে প্রেমিকার সামনে গলায় ফাঁস তরুণের

হালফিলে লাইভে আত্মহত্যার প্রবণতা হুহু করে বেড়ে চলেছে দেশে। সেই প্রবণতা সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। গত মাসেই হায়দরাবাদে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে প্রেমিকার সামনে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন এক যুবক। এবার ফের সেই হায়দরাবাদেই ঘটল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। লাইভে প্রেমিকার সামনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণ। প্রেমিকের সেই আত্মঘাতী হওয়ার লাইভ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন তাঁর প্রেমিকা। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ফোনের একদিকে ২ জন তরুণী কথা বলছেন অন্যপাশে থাকা তরুণের সঙ্গে। কথা বলার মাঝে একসময়ে ওই তরুণ উঠে পড়েন। তারপর আগে থেকে তৈরি রাখা ফাঁস গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়েন। তরুণ মজা করছেন ভেবে প্রথমে বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব দেননি লাইভে আসা প্রেমিকা। কিন্তু প্রেমিকের সাড়া না পেয়ে ভয়ে আর্তনাদ করে উঠতে শোনা যায় ফোনের ওপারে থাকা এক নারীকণ্ঠকে। প্রায় ৩ মিনিটের লাইভ ভিডিও। যা রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণের নাম আজমির সাগর। হায়দরাবাদের আইটিআইয়ের পড়ুয়া ছিলেন ওই তরুণ। বিনায়কনগরে দিদির বাড়িতে থেকে তিনি লেখাপড়া করতেন। গত বুধবার সকালে বাড়িতে একাই ছিলেন বছর ২০-র তরুণ। মৃতের প্রেমিকার অভিযোগ, আজমিরের সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নেয়নি দুই পরিবার। গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের সঙ্গে তিনি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দুই বাড়ির লোক সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দেন। তরুণীর দাবি, কিছুদিন আগে প্রেমিকের বিয়ে দিতে অন্য মেয়ে খুঁজছিল তাঁর পরিবার। এই নিয়ে খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন আজমির। তাঁর প্রেমিকার আরও দাবি, বুধবার সকালে তাঁকে একটি মেসেজ পাঠান তাঁর আজমির। তাঁর সামনে মরতে পারলেই তিনি খুশি হবেন বলে মেসেজে লিখে পাঠান আজমির। এরপরেই প্রেমিকাকে ওই তরুণ ফোন করেন। তরুণীর দাবি, তাঁকে কোনও কথা বলার সুযোগ দেননি তাঁর প্রেমিক। তার আগেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পরেন তিনি। চোখের নিমেষে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তরুণী ও তাঁর আরেক বান্ধবী। সাথে সাথে তাঁরা ছুটে আসেন তরুণের দিদির বাড়িতে। পুলিশকে খবর দেন তাঁরাই। পুলিশ এসে মৃত তরুণের দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *