National

শান্তিতেই শেষ ত্রিপুরার ভোটগ্রহণ

শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হল ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ১২টি ইভিএম মেশিন খারাপ থাকায় বদলাতে হয়। সেখানে ভোটগ্রহণ শুরু হতে দেরি হয়। এছাড়া বিকেল গড়ালেও কয়েকটি বুথে লাইন থাকায় সেখানে ভোটপর্ব মিটতে সন্ধে নেমে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে এবার ত্রিপুরা নির্বাচন নিয়ে কোনও দলই কোনও প্রশ্ন তোলেনি। বাম, বিজেপি, কংগ্রেস সকলেই ত্রিপুরার নির্বাচন নিয়ে খুশি। গণতন্ত্রের উৎসবে এদিন যেভাবে ত্রিপুরার মানুষ সামিল হয়েছিলেন তা ছিল দেখার মতন। প্রায় সব বুথেই সকাল থেকে ছিল লম্বা লাইন। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ছিল ভোটগ্রহণের সময়। ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ। তবে তারপরও বহু বুথেই লম্বা লাইন থাকায় ভোটগ্রহণ চলেছে। ৪টের পর নতুন করে কাউকে লাইনে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি।

৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় এতদিন ছিল বাম বনাম কংগ্রেস লড়াই। যদিও শেষ ২০ বছরে এখানে তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। গতবার মাত্র ১০টি আসন জিততে পেরেছিল কংগ্রেস। তবু তারাই ছিল প্রধান বিরোধী দল। এবার সেখানে লড়াই মুখ ঘুরিয়েছে। এবার বিজেপিও ঢুকে পড়েছে কড়া টক্করে। সঙ্গে নিয়েছে আইপিএফটি-কে। আসন ভাগাভাগি করে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৫০টি আসনে। বাকি আসনে জোটসঙ্গী। তবে এদিন ৬০টি নয়, ৫৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। চরিলাম বিধানসভা আসনে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর জেরে ওই আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গেছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সামনে এবার বিজেপি থাকায় লড়াইটা কঠিন। ৩টি আসন জোটসঙ্গী ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ও আরএসপিকে ছেড়েছে সিপিএম। বাকিতে তারা প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেস দিয়েছে ৫৮টি আসনে প্রার্থী। এবার ৪৭টি বুথকে মহিলা বুথ হিসাবে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। এখানে পুরো বুথের দায়িত্বে ছিলেন মহিলারা। সুরক্ষা কর্মীরাও মহিলা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এদিন ভোট দেন সকালেই।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *