ঐতিহাসিক স্থান থেকে গাছের গুঁড়ি অতীত, এবার বিমানে খোদাই হল নাম
কোনও ঐতিহাসিক জায়গার দেওয়ালে অবিবেচকের মত নাম লেখার অভ্যাস রয়েছে কিছু মানুষের। এবার তেমনই একজন নতুন জায়গা খুঁজে নিলেন নাম লেখার জন্য।
ভারতের যে কোনও কোণায় যাওয়া যাক, সেখানকার ঐতিহাসিক জায়গায় অনেকের নাম খোদাই করার একটা প্রবণতা নজর কাড়ে। যা সংরক্ষণ করা জরুরি, তার ওপর অবিবেচকের মত নাম লিখে আসেন কেউ কেউ। ঐতিহাসিক গুরুত্বই হয়তো বুঝতে পারেননা তাঁরা।
অনেকে আবার টয়লেটের দেওয়াল থেকে গাছের গুঁড়ি, যেখানেই সুযোগ পান সেখানেই নিজের নাম খোদাই করে আসেন কোনও ধারাল কিছু দিয়ে। তবে এই তালিকায় বিমানের জানালার কাচ এতদিন ছিলনা। এবার সেটাও যুক্ত হয়ে গেল।
একটি ভারতীয় বিমান সংস্থার বিমানের জানালার কাচের ওপর নিজের নাম লিখে এলেন জনৈক। তিনি কে তা জানা যায়নি। তবে তিনি কাচের ওপর যা খোদাই করেছেন তাতে লেখা আছে মানবি কে অথবা মানবিক। ইংরাজিতে বড় হাতের লেখায় অক্ষরগুলি লেখা হয়েছে। তা কোনও রং বা পেনের কালি দিয়ে লেখা নয়। খোদাই করা। যা ঘষে বা মুছে তুলে দেওয়া অসম্ভব।
সমাজ মাধ্যমে এমন কাজের ছবি সামনে আসার পর এ কাজের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা আছড়ে পড়েছে। কেউই ভাল চোখে নিতে পারছেন না একাজ। তাঁদের মতে, বড়রা কেউ করে থাকলে তার জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। ছোটরা কেউ করে থাকলে সঙ্গে থাকা বড়দের সেদিকে নজর রাখা উচিত ছিল।
কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন এভাবে খোদাই করতে গেলে ধারাল কিছু পাওয়া দরকার। তা তো বিমানে নিয়ে চড়াই নিষিদ্ধ। তাহলে কি কেউ নজর এড়িয়ে এমন ধরনের কিছু নিয়ে বিমানের জানালার কাচের ধারের সিটে বসেছিলেন?
কেউ বলেছেন ওই সিটে ওই নামের কোনও যাত্রী ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা করলেই তো কে করেছেন তা পাওয়া যাবে। তবে যেই করে থাকুন না কেন তাঁকে একরাশ ক্ষোভের মুখে পড়তে হল।













