সুস্থ থাকতে অত্যাধুনিক ২৪টি পার্ক পাচ্ছে অতি প্রাচীন শহর, পার্কে থাকছে বিশেষ সুবিধা
নতুন বছরে নতুন পার্ক। এমনটাই পেতে চলেছে এক অতি পুরনো শহর। পুরনো এ শহরের বুকে ২৪টি নতুন পার্ক কেবল পার্ক নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু।
পার্ক সম্বন্ধে সকলেরই একটা ধারনা আছে। সাজানো গাছপালা, ঘাস জমি, বসার জন্য বেঞ্চ, ছোটদের জন্য কিছু ছোটখাটো খেলার ব্যবস্থা। এমন চেনা পার্ক শহর, শহরতলীতে হামেশাই চোখে পড়ে। এ কেবল বাংলায় নয়, ভারতের সব জায়গাতেই রয়েছে।
কিন্তু এবার পার্কেও আসছে বদল। পার্ক চিরদিনই সুস্বাস্থ্যের দিশারী। এবার সেই সুস্বাস্থ্যের জন্য পার্ককে নতুন ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের অন্যতম প্রাচীন শহর পেতে চলেছে এমন ২৪টি পার্ক। ভারতের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছে গঙ্গা তীরে অবস্থিত এই শহর। খুব শীঘ্রই সেখানকার বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে।
বারাণসী শহর জুড়ে মোট ২৪টি স্মার্ট পার্ক হতে চলেছে। যার মধ্যে ২০টি পার্কের কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাকিগুলোর কাজ খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ করে নতুন বছরে পার্কগুলি জনগণের জন্যে খুলে দেওয়া হবে।
ঘরের কাছেই আধুনিক সুবিধাযুক্ত পার্ক পেয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর আর শরীরচর্চার জন্য দূরে যেতে হবেনা। অনেক অর্থ ব্যয়ও করতে হবেনা। সুস্থ থাকতে যোগ ব্যায়াম, জিমের প্রয়োজন পড়ে। প্রয়োজন পড়ে প্রাতঃভ্রমণ বা বৈকালিক ভ্রমণের। সে সুবিধাকেও আধুনিক রূপ দেওয়া হয়েছে।
এই পার্কগুলিতে হাঁটার জন্য সুন্দর পথ, ছোটদের জন্য খেলার নানা উপকরণ থাকছে। তেমনই এই আধুনিক পার্কে থাকছে যোগ চর্চা এবং হালকা ব্যায়াম করার বিশেষ সুবিধা। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পার্কগুলির দেওয়ালে আকর্ষণীয় ওয়াল পেন্টিংও করা হয়েছে।
এই সময়ে দাঁড়িয়ে রোগব্যাধির প্রকোপ, শ্বাসকষ্ট, মানসিক চাপ বা ওজন বৃদ্ধির মত সমস্যায় মানুষ নাজেহাল। অনেকেই এখন নিজেদের সুস্থ রাখতে যোগব্যায়াম এবং হাঁটাকে জীবনের অপরিহার্য অংশ বানিয়ে ফেলেছেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ নিজের ঘরের পাশেই সবুজের সমারোহে শরীরচর্চার সুবিধা চান। সেটাই এবার সহজলভ্য হতে চলেছে বারাণসীর বাসিন্দাদের জন্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













