অভিনব ভাবনা, দেশে তৈরি হল অঙ্কের বাগান, যেখানে খেলায় লুকিয়ে থাকে অঙ্ক
এমন ভাবনা যা দেশবাসীকে রীতিমত আপ্লুত করেছে। অঙ্ককে যে বাগানে জায়গা দেওয়া যায় সে ধারনা কারও ছিলনা। অঙ্কের বাগান দেখার পর তাই পড়ুয়ারাও বেজায় খুশি।
খেলতে খেলতেও যে কঠিন অঙ্ক কষে ফেলা সম্ভব, তা বুঝে ফেলা সম্ভব, সেটা এই অঙ্কের বাগান ঘুরে দেখার আগে পড়ুয়ারাও জানত না। তাদের ধারনা ছিল বইয়ের পাতায় সংখ্যায় লেখা কঠিন সব গাণিতিক তত্ত্ব বেশ জটিল। কিন্তু সেগুলিই যে হাতেকলমে খোলা আকাশের নিচে তৈরি বাগানে খেলতে খেলতে আত্মস্থ করা যায় অঙ্কের বাগান সেটা করে দেখাল।
এক অঙ্কের মাস্টারমশাই এই ভাবনার কাণ্ডারি। তিনিই এই অঙ্কের বাগানটি তৈরি করেছেন। ৫ বছর আগে এই বাগান তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। আর এখন সেই বাগান তৈরি।
সেখানে এখন পুড়ায়ারা আসছে। ভিড় জমাচ্ছে। এমনও পড়ুয়ারা এখানে এসেছে যারা অঙ্ককে একসময় এড়িয়ে চলত। কিন্তু এই বাগানে ঘোরার পর, এখানে অঙ্কের খেলায় মেতে ওঠার পর এখন তাদের অঙ্ক সবচেয়ে পছন্দের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
ছত্তিসগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার দোঙ্গারগড় ব্লকে তৈরি হওয়া এই অঙ্কের বাগান বা ম্যাথস পার্ক সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। যেখানে একসময় নকশাল দাপট ছিল, সেই জায়গাই এখন ভিন্ন ধারার পড়াশোনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
এই ম্যাথস পার্কে শূন্যের আবিষ্কর্তা আর্যভট্টের তত্ত্ব যেমন শেখানো হয়, তেমনই গণিতজ্ঞ রামানুজনের তত্ত্বও বোঝানো হয়। তবে তা বইয়ের পাতায় নয়, বরং নানাধরনের ফিগার, মডেল ও কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শেখানো হয়।
পাশাপাশি বৈদিক গণিতও ছাত্রছাত্রীদের এই পার্কে নানাভাবে বোঝানো হয়। যা তারা খেলার ছলেই সহজে বুঝে ফেলতে পারে। যা তাদের অঙ্ক কষার সময় নির্ভুল গণনা করতে শেখায়।
অঙ্কের শিক্ষক গোকুল জিঙ্ঘল এই ভাবনার পুরোধা। তবে তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই পার্ককে বাস্তব রূপ দিয়েছেন। নিজেরাই টাকা তুলে ১০ লক্ষ টাকা এই পার্ক তৈরিতে খরচ করেছেন এঁরা।
কীভাবে অঙ্ককে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পছন্দের বিষয় করে তোলা যায়, তাদের মধ্যে থাকা অঙ্ক নিয়ে ভয় কাটিয়ে তোলা যায়, তা ভেবে বার করেছিলেন এই শিক্ষকেরাই। তাঁরাই অঙ্কের নানা দিক নিয়ে এই পার্ককে খেলার ছলে সাজিয়ে তুলেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













