National

শিকারায় চড়ার জন্য আর ভূস্বর্গে পাড়ি নয়, একই আনন্দ এবার অন্যত্রও

শিকারা শব্দটির সাথে কাশ্মীর ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। কাশ্মীরে গিয়ে শিকারায় চড়েননি এমন মানুষ কমই আছেন। তবে কাশ্মীর না গিয়েও এবার শিকারা চড়ার ইচ্ছাপূরণ সম্ভব।

শ্রীনগরের ডাল লেকে শিকারা চড়ার ইচ্ছা কার না থাকে! কিন্তু চাইলেই তো আর কাশ্মীর যাওয়া যায়না। তবে কাশ্মীরে না গেলেও এখন শিকারা চড়া সম্ভব। কাশ্মীরের পর দেশের অন্যত্র শিকারা চালু হয়েছে। যা সেই রাজ্যের পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছে। এই নতুন উদ্যোগের কারণে কাশ্মীরে না গিয়েও বহু মানুষ এবার সেই একই শিকারায় চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী শহর ভোপালে বেড়াতে যাওয়া মানুষের কাছে নতুন আকর্ষণ সেখানকার শিকারা। কাশ্মীরের ডাল লেকের শিকারার আনন্দ এবার ভোপালের ‘বড়া তালাও’ ঝিলেই পাবেন পর্যটকরা। শিকারাকে সামনে রেখে মধ্যপ্রদেশ পর্যটন এক নতুন পরিচিতি পেল।

জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে মধ্যপ্রদেশের জল পর্যটনকে নতুন রূপে তুলে ধরাই এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্যেই প্রাথমিকভাবে মোট ২০টি শিকারা নিয়ে প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে। পর্যটকেরা শিকারায় চড়ে পাখি দেখার আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন। যে কারণে শিকারায় দূরবীনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

একইসঙ্গে পর্যটকেরা শিকারাগুলিতে জৈব উপায়ে ফলানো শাকসবজি এবং ফল কিনতে পারবেন। মধ্যপ্রদেশের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজ পরখ করে দেখতে এবং কিনতে পারবেন এই শিকারাতেই ভাসতে ভাসতে। শিকারায় চড়েই তাঁরা ওই রাজ্যের স্থানীয় সুস্বাদু রান্নাও চেখে দেখতে পারবেন।

একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই শিকারাগুলি তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা এবং অসমেও এই সংস্থা পর্যটনক্ষেত্রে কাজ করেছে। পরিবেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই শিকারাগুলিতে দূষণ নিরোধক সামগ্রি ব্যবহৃত হয়েছে। যা জলের সঙ্গে কোনওরকম রাসায়নিক বিক্রিয়া করবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *