বিয়ের রাতে নববধূর আবদার শুনে রহস্যজনক ভাবে উধাও বর, ৫ দিন পর মিলল খোঁজ
বিয়ের রাতে কনে ঘরেই ছিলেন। বর ঘরে আসতে তাঁর কাছে একটি আবদার করে বসেন নববধূ। যা শুনে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যান বর।
বাস্তবে এমন ঘটনা না ঘটলে হয়তো মন গড়া কাহিনি বলে মনে হত। যেন গল্পের বইয়ের পাতা থেকে নেওয়া লেখকের কল্পনাপ্রসূত এক কাহিনি। কিন্তু তা তো নয়। ঘোর বাস্তবে এমন এক ঘটনা ঘটল যা জানার পর হতবাক হয়ে গেছেন বহু মানুষ।
বিয়েটা ধুমধাম করেই হয়েছিল। রাতে নববধূ ছিলেন ঘরে। সে ঘরে এসে হাজির হন বর। আসার পর ওই তরুণী স্বামীকে ঘরের বাল্বটি বদলে দিতে অনুরোধ করেন। জানান বাল্বটির আলো বেশ চড়া। একটু কম পাওয়ারের বাল্ব যদি লাগানো যেত তাহলে ভাল হয়।
সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীর এই আবদার শুনে ওই ব্যক্তি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। বাল্ব আনতে আর কতক্ষণই বা লাগতে পারে! কিন্তু দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরও স্বামী না ফেরায় ওই তরুণী বাড়ির বাকিদের ঘটনাটি জানান।
শুরু হয় ওই ব্যক্তির খোঁজ। কিন্তু এলাকার কোথাও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর পরিচিত, বন্ধু থেকে প্রতিবেশি, কেউই তাঁর খবর দিতে পারেননি। অগত্যা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে নেমে কাছে গঙ্গার একটি খালে ডুবুরি পর্যন্ত নামিয়ে দেয়। কিন্তু তাও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এভাবে একদিন একদিন করে কাটতে থাকে। আর গোটা পরিবার আতঙ্ক আর শোকের আবহে ডুবে যেতে থাকে।
৫ দিন পর অবশেষে মহসিন নামে ওই ব্যক্তি ফোন করেন। ফোন করেন এক আত্মীয়কে। জানান তিনি ভাল আছেন। হরিদ্বারে আছেন। মেরঠের বাসিন্দা মহসিনকে ফিরিয়ে আনতে মেরঠ পুলিশ হরিদ্বারে হাজির হয়। সেখান থেকে মহসিনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু কেন? কেন তিনি একটা কম পাওয়ারের বাল্ব আনতে বেরিয়ে হরিদ্বার চলে গেলেন? মহসিন নিজে জানিয়েছেন ঘরে ঢোকার পর নববধূর সম্মুখীন হয়ে তিনি কেমন একটা উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। উদ্বেগ এতটাই বেড়ে যায় যে বাল্ব কেনার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি হাঁটতে শুরু করেন।
মেরঠ থেকে তিনি রাতে হেঁটেই হরিদ্বার পৌঁছে যান। এই ঘটনা শোনার পর হতবাক তাঁর পরিবার থেকে আত্মীয় পরিজন থেকে সাধারণ মানুষজন। নববধূ অবশ্য এটা শোনার পর তাঁর স্বামীকে নিয়ে কি ভাবছেন তা জানা যায়নি।













