এমন পাত্র সবাই চাইবেন, বিয়ের মণ্ডপে যুবকের হাতজোড় করে বার্তা মন জয় করে নিল সকলের
বিয়েটা আর পাঁচটা বিয়ের মতই হল। তবে তার মাঝে পাত্র যা করলেন তা সকলের মন জয় করে নিল। তাঁর কাজ বার্তা হয়ে সামনে এল।
বিয়ের নানা পর্ব হয়। তাও আবার পরিবার ভেদে বদলে যায় নিয়ম। যেমন এ বিয়েতে গোরা তিলক নামে একটি পরম্পরা রয়েছে। যা পালিত হচ্ছিল। পাত্রের বাড়ির লোকজন থেকে কনের বাড়ির লোকজন সকলেই হাজির। হাজির অতিথিরাও।
সেখানেই কনের পিতা হাজির হয়ে তাঁর হবু জামাইয়ের হাতে ৩১ লক্ষ টাকা তুলে দিতে যান। যাকে পণ হিসাবেই ধরা হচ্ছিল। এটা চেনা দৃশ্য। তাই বিষয়টি নিয়ে কেউ অবাক হননি।
সবাই নিশ্চিত ছিলেন বর সেটি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে পাত্র বিয়ের মণ্ডপে সকলের সামনেই ওই ৩১ লক্ষ টাকা নিতে অস্বীকার করেন।
হাতজোড় করে তাঁর হবু স্ত্রীর পিতাকে জানান এ টাকা তিনি নিতে পারবেননা। সকলেই অবাক হয়ে যান বরের কাণ্ড দেখে। তবে আপেক্ষিক চমক কাটিয়ে উপস্থিত সকলেই পাত্র অবধেশ রাণা-র আচরণকে সাধুবাদ জানান।
অবধেশ স্পষ্টই জানান তিনি পণ প্রথার বিরোধী। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক পিতাকেই সারাজীবন রোজগারের কিছুটা বাঁচাতে হয়। তার পরেও হয়তো অনেককে ঋণ নিতে হয় পণ মেটানোর জন্য।
এই প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত বলেও স্পষ্ট বার্তা দেন অবধেশ। তাঁর এই আচরণের খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। শুধু ওই বিয়েতে উপস্থিত সকলেই নন, সারা দেশ অবধেশের এই আচরণে মুগ্ধ।
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের সাহাবুদ্দিনপুর গ্রামে কনে অদিতি সিংয়ের বাড়ি। পাত্র অবধেশ রাণা নাগওয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে এই গ্রাম, রাজ্য পার করে অবধেশের এই পণ বিরোধী বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।













