National

বানরের শ্রাদ্ধে পাত পেড়ে খাওয়ানো হল ৪ হাজার মানুষকে

গোটা এলাকা শোকে আচ্ছন্ন। টানা ১২ দিন ধরে শোকস্তব্ধ তাঁরা। মানুষ নয়, শোক এক বানরের প্রয়াণে। তার শ্রাদ্ধে পাত পেড়ে খেলেন ৪ হাজার মানুষ।

এক খোলা মাঠ। রোদ ঝলমল করছে। সেই মাঠেই একের পর এক মানুষের সারি। তাঁর বসে আছেন মাঠের ওপর। সামনে খাবার। অনেকে পরিবেশন করে চলেছেন। খাবারের তালিকায় ছিল পুরি, ছোলার ছাতু দিয়ে তৈরি সেও, নানাধরনের সবজির পদ।

শুধু পুরি বানাতেই ৫ কুইন্টাল আটা লাগে। এছাড়া পদের প্রয়োজনে ১০০ লিটার বাটারমিল্ক এবং ১ কুইন্টাল চিনিও লাগে। ৪ হাজার মানুষের এই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে কোনও আনন্দ অনুষ্ঠানে নয়, এ ছিল শ্রাদ্ধ উপলক্ষে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত।

যার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানকে সামনে রেখে এই বিশাল আয়োজন তিনি কোনও মানুষ নন। একটি বানর। যার মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার দারাওয়াড়ি গ্রামে নিত্য বিচরণ ছিল। গ্রামবাসীরা সে বানরকে সকলেই চিনতেন। বিশ্বাস করতেন ওই বানর কোনও সাধারণ বানর নয়। সে স্বয়ং ভগবান হনুমানজির অবতার।

তাই তার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা গ্রাম। একজন মানুষের যে যে হিন্দু রীতি মেনে সৎকার হয়, সেই সব রীতি মেনেই সৎকার সম্পন্ন হয়। তারপর ইলেকট্রিক তারের স্পর্শে তরিতাদহে প্রাণ যাওয়া ওই বানরের চিতাভষ্ম নিয়ে গ্রামের কয়েকজন উজ্জয়িনীতে যান।

সেখানে শিপ্রা নদীতে সেই চিতাভষ্ম বিসর্জন দেন। তারপর ফিরে আসেন গ্রামে। গ্রামে প্রয়াণের একাদশ দিনে শ্রাদ্ধক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দ্বাদশ দিনে এই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়। যেখানে শুধু ওই গ্রামের নয় আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও আমন্ত্রিত ছিলেন।

শ্রাদ্ধের এই খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের খরচ গ্রামবাসীরাই সকলে মিলে দেন। বিভিন্ন মানুষের দেওয়া এই অর্থে ১ লক্ষ টাকার মত ওঠে। যা দিয়ে ৪ হাজার মানুষের এই খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *