National

রাজ্য মাছের তকমা পেল রুই মাছ, তবে বাংলায় নয়, বাংলার ধারেকাছের রাজ্যেও নয়

বাঙালির পাতে রুই মাছের রমরমা চিরাচরিত। সেই রুই মাছ এবার পেল রাজ্য মাছের তকমা। তবে সেটা বাংলার নয়। এমনকি বাংলার আশপাশের কোনও রাজ্যেরও নয়।

বাংলার মানুষ রুই মাছের সঙ্গে পরিচিত। নানা মাছ খাওয়ার অভ্যাস বাংলার মানুষের থাকলেও রুই বোধহয় তাঁদের পাতে সবচেয়ে বেশি জায়গা করে নেয়। অন্যান্য মাছ ঘুরিয়ে ফিরেয়ে পাতে পড়লেও একটা বড় সংখ্যক মানুষ প্রায় দিন রুই মাছের টুকরোতেই মাছের স্বাদে মন ভরান।

ফলে এটা সাধারণভাবে ধরে নেওয়া যেতেই পারত যে বাংলার রাজ্য মাছ রুই হতে পারে। কিন্তু তা হল না। এমনকি বাংলা বলে নয়, পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া রাজ্যগুলিতে যেখানে যেখানে রুইয়ের প্রাধান্য রয়েছে সেখানেও রুই রাজ্য মাছের তকমা পেল না। পেল অনেক দূরের রাজ্য পঞ্জাবে।

পঞ্জাবের মৎস্যমন্ত্রী গুরমীত সিং খুদিয়ান জানিয়েছেন পঞ্জাবের রাজ্য মাছ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে রুইকে। ফলে সে রাজ্যে এখন আলাদাই মর্যাদা রুই মাছের। পঞ্জাবে হালে মাছ চাষে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। মাছ চাষের জন্য আরও জায়গা বরাদ্দ হয়েছে।

৪৩ হাজার ৬৮৩ একর জমি বরাদ্দ হয়েছে মাছ চাষের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য। আপাতত পঞ্জাব বাৎসরিক ২ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করতে সক্ষম। যার ২১ শতাংশ উৎপাদনই রুই মাছ। যা সেখানে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

পঞ্জাবের মৎস্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রুই তাঁদের রাজ্য মাছ। যা খাদ্যগুণেও ভরপুর। রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং ডি। সঙ্গে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রসঙ্গত ভারতে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় রুই, কাতলা এবং মৃগেল মাছ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *