ইউপিআই দিয়ে টাকা লেনদেন করার কারণে হারানো ফোন ফিরে পেলেন গৃহবধূ
১ দশকেরও কমসময়েই সকলের মন জয় করে নিয়েছে টাকা লেনদেনের ডিজিটাল পদ্ধতি ইউপিআই। তবে এবার এই আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে হারানো জিনিসও ফিরে এল।

বর্তমানে দেশের একটা বড় অংশের খুচরো কেনাকাটা হয় ইউপিআই-তে। তবে সমাজ মাধ্যমের একটি পোস্ট থেকে জানা গেছে কেবলমাত্র টাকা লেনদেনের বাইরেও ইউপিআই একটি অন্য কাজে লেগেছে। সম্প্রতি এক ভদ্রলোক সমাজ মাধ্যমে একটি অভিনব পোস্ট করেন।
ওই ব্যক্তি এই ঘটনাকে বলেছেন ইউপিআই মিরাকল। তিনি লেখেন, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও দয়ালু মানুষের সাহায্যে তাঁর স্ত্রী নিজের সদ্য কেনা ফোন হারিয়েও ফিরে পেয়েছেন। ওই ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী একটি ব্যাটারি চালিত রিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁরা ভাড়া মিটিয়ে রিকশা থেকে নেমে যান।
স্ত্রীর হাতে ছিল একটি নতুন ফোন। তখনও সেই ফোনে কোনও সিম কার্ড ছিলনা। হঠাৎ তাঁর খেয়াল হয় ফোনটি হাতে নেই। ফোনটি কোথায় ফেলে এসেছেন সেটাও মনে করতে পারেন না। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন হয়ত কেউ নতুন ফোনটি চুরি করে নিয়েছে। তারপর ভাবেন কোনওভাবে ফোনটি রিকশায় ফেলে আসতে পারেন।
ফোনে কোনও সিম কার্ড না থাকায় কল করে সেটির অবস্থান জানারও সুযোগ ছিলনা। তখন ওই ব্যক্তির মনে পড়ে তিনি ইউপিআই-এর মাধ্যমে রিকশার ভাড়া মিটিয়েছিলেন। তাই তিনি সেখান থেকে রিকশাচালককে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে শুধুই চালকের ইউপিআই আইডি বাদে আর কিছু পাওয়া যায়না।
শেষমেশ হতাশ হয়ে তাঁরা বাড়ির পথে পা বাড়ান। ঠিক সেই সময়েই ভদ্রলোকের ফোনে একটি বার্তা আসে তাঁকে কেউ ১ টাকা পাঠিয়েছেন। সাথে একটি ফোন নম্বর দিয়ে কল করতেও বলা হয়।
ফোন করেই ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন এই সেই রিকশাচালক। সেই চালক তাঁদের যেখানে আছেন সেখানেই অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি নিজে সেখানে এসে ফোনটি ফেরত দিয়ে যান।
ভদ্রলোক খুশি হয়ে চালককে কিছু টাকা বখশিশ দেন। এই ঘটনায় সকলেই একযোগে ইউপিআই ব্যবস্থা এবং ওই রিকশাচালকের সততাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রযুক্তির কারণে যেমন যোগাযোগটি সহজে তৈরি হয়েছিল, তেমনই চালকের সততা না থাকলে কখনওই ওই ফোন ফিরে পাওয়া সম্ভব হতনা।